ঈশ্বরদীতে শিক্ষক-শিক্ষিকার অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ, অপসারনের দাবীতে স্মারকলিপি প্রদান

ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার: পাবনার ঈশ্বরদী বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম ও ঈশ্বরদী পূর্বটেংরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন স্বপ্নার মধ্যে অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে।
অনৈতিক সম্পর্কের অভিযোগে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সরদার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত ঐ স্মারকলিপির অনুলিপি ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর দেওয়া হবে বলেও জানান অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে জানতে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক সিরাজুল ইসলামের সাথে কয়েকবার মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি।
ঈশ্বরদী পূর্বটেংরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা খাতুন স্বপ্নার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সম্পর্কটি অনৈতিক নয় বলে দাবী করেন । তিনি আরও বলেন আমাদের সম্পর্কটি উভয়ের পরিবার জানে। তাদের সম্মতিক্রমে আমরা দেড়মাস আগে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছি। আমাদের বিয়ের বিষয়টি সিরাজের প্রথম স্ত্রীর সম্মতিক্রমেই হয়েছে।
এ বিষয়ে বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ সরদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগের বিষয়ে অবগত হয়েছি, তবে সম্পর্ক বৈধ না অবৈধ সেটা জানি না। তবে সম্পর্ক যদি অনৈতিক হয় এবং এর প্রভাব যদি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর পরে তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
এমন সম্পর্কের অভিযোগ ও স্মারকলিপির বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এস এম মোসলেম উদ্দীন বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে বলেন, স্মারকলিপির কপি এখনো হাতে পায় নি, তবে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হবে। অভিযোগ প্রমানিত হলে অবশ্যই এর বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে। 
তবে এমন ঘটনার কারনে বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে কন্যা সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করার ব্যাপারে আর কোন ক্রমেই আস্থা রাখতে পারছেন না বলে জানিয়েছেন অভিভবকবৃন্দ।
সিরাজুল ইসলামের জনৈক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি এখন সর্বজন বিদিত। সম্পর্ক যদি বৈধ হতো, আর পরিবার যদি সম্মতি দিত তাহলে বিয়ের বিষয়ে গোপন রাখবেন কেন বলে প্রশ্ন করেন তারা। বরং এই অনৈতিক সম্পর্ক হয়তো শেষ পর্যন্ত সামজিক চাপে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে । আর এটিই এখন ঈশ্বরদীর সকল মানুষের কাছে রসালো আলোচনা হয়ে দাঁড়িয়েছে । এই অনৈতিক ঘটনাটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাব মূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন করেছে । একজন প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছে অভিভাবকরা কখনোই এমন পরিস্থিতির আশা করে না বলেও জানান তারা।
অভিভাবকদের স্মারকলিপির বক্তব্য হুবহু তুলে ধরা হলো:-
বাঘইল স্কুল এন্ড কলেজের অতীত ঐতিহ্য ও গৌরবের কথা বিবেচনায় রেখে আমরা আজ অবধি আমাদের সন্তান সন্ততির শিক্ষার জন্য এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ওপরেই নির্ভর করে আসছি ।
কিন্তু সম্প্রতি নিয়োগ প্রাপ্ত এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মহোদয়ের লাম্পট্য ও চরিত্রহীনতার বিষয়টি অবগত হয়ে আমরা আতঙ্কিত ও ভিতিগ্রস্থ হয়ে পড়েছি। আমাদের কোমলমতি সন্তান বিশেষ করে কন্যা সন্তানদের এই প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করার ব্যাপারে আর কোন ক্রমেই আস্থা রাখতে পারছি না।
সম্প্রতি যোগদানকারী অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব মোঃ সিরাজুল ইসলামের জনৈক মহিলার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের বিষয়টি এখন সর্বজন বিদিত। এই অনৈতিক সম্পর্ক শেষ পর্যন্ত সামজিক চাপে বিয়ে পর্যন্ত গড়িয়েছে। আর এটিই এখন সমস্ত গ্রামের মানুষের কাছে রসালো আলোচনা। এই অনৈতিক ঘটনা ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ভাব মূর্তি ব্যাপক ভাবে ক্ষুন্ন করেছে।
ফলে আগামী বছর গুলোতে ছাত্র – ছাত্রী ভর্তি অনেক হ্রাস পাবে বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারনা । আর একটি লক্ষ্য করার মত বিষয় হচ্ছে এই অকর্মন্য প্রধান শিক্ষকের যোগদানের পর থেকেই শিক্ষার পরিবেশ , নিয়ম শৃঙ্খলার অবনতি , সর্বপরি পাবলিক পরীক্ষাগুলোর ফলাফল ক্রমশঃ নিম্নমুখী হচ্ছে।
সুদীর্ঘ কালের বিজ্ঞ সভাপতি হিসেবে আপনার কাছে এলাকাবাসী ও অভিভাবক বৃন্দের আকুল প্রার্থনা উপরিবর্নিত বিষয়টি বিবেচনা করে অযোগ্য দুশ্চরিত্র প্রধান শিক্ষক মোঃ সিরাজুল ইসলাম কে অপসারন করে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সুনাম অক্ষুন্ন রাখলে এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন আপনার কাছে অশেষ কৃতজ্ঞ থাকবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ক্রাইম (পাবনারিপোর্টার মো: ময়নুল ইসলাম লাহিড়ী মিন্টু। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.