ঈদ যাত্রার বহরে ৫ কোটি যাত্রীর ১৫ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথ প্রস্তুত নয়: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

বিটিসি নিউজ ডেস্ক: এ বারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তির শঙ্কা সড়ক-মহাসড়ক বেহালের কারণে। অন্যদিকে শুরু হতে যাচ্ছে দুর্যোগপূর্ণ বর্ষা মৌসুমে ও উত্তাল নৌ-পথে যাতায়াতের ঝুঁকি, রেলপথে মেয়াদোত্তীর্ণ ইঞ্জিন, কোচ ও ঝুঁকিপূর্ণ রেলপথে অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে সিডিউল বিপর্যয়ের শঙ্কার মধ্য দিয়ে ঈদ যাত্রা । ঈদ যাত্রার বহরে ৫ কোটি যাত্রীর ১৫ কোটি ট্রিপ সামাল দিতে সড়ক, রেল ও নৌ-পথ প্রস্তুত নয় বলে দাবি করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
গতকাল বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির গোলটেবিল মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা জানানো হয়। আসন্ন ঈদে যাত্রীদের বাড়ি ফেরা নিয়ে ‘ঈদ যাত্রায় দুর্ভোগ: নাগরিক ভাবনা’ শীর্ষক এ আলোচনার আয়োজন করে যাত্রী কল্যাণ সমিতি। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ভাঙাচোরা সড়ক, দীর্ঘ যানজট, দুর্ঘটনা, বাসের ট্রিপ-সংখ্যা ঠিক রাখতে বেপরোয়া গতি প্রতিবছরের ন্যায় এবারও ঈদে মহাসড়কে দুর্ভোগে পড়তে হবে ঘরমুখো লাখো যাত্রীকে। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে দেশের ৪০ শতাংশ সড়ক-মহাসড়কের বেহাল দশা। তিনি বলেন, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কাজ চলমান থাকায় প্রায় সময় যানজট হচ্ছে।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের প্রবেশপথ যানজটমুক্ত করতে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে চারলেনের ফ্লাইওভার নির্মাণের কাজ চলছে। এতে ওই মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত হলেও এ মহাসড়কের সুফল আটকে গেছে কাঁচপুর, মেঘনা, গোমতী সেতুর টোলঘরে ও ফেনী ফতেহপুরের নির্মাণাধীন ফ্লাইওভারে।
সড়ক যোগাযোগের মাধ্যম ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক রাজধানী ঢাকার সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের ২২ জেলার । গোলড়া বাসস্ট্যান্ড ও সবজির পাইকারি বাজার, মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড, বানিয়াজুড়ি বাসস্ট্যান্ড, উথুলি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যানবাহন এলোপাতাড়ি রাখায় যানবাহনের জট লেগে যায়। বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের শেখ জামাল সেতু থেকে কলাপাড়ার পাখীমারা বাজার পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার সড়ক অত্যন্ত নাজুক।
ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ শেষ হলেও সুফল আটকে দিয়েছে অবৈধ পার্কিং ও বাজার। তিনি আরো বলেন, যাত্রী কল্যাণ সমিতি মনে করে, রেশনিং পদ্ধতিতে ছুটির ব্যবস্থা করা। ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে সড়ক-মহাসড়ক প্রতি ইঞ্চি অবৈধ দখল ও পার্কিং মুক্ত করা। সড়কের পাশে হাট-বাজার উচ্ছেদ করা।
দুর্ঘটনা রোধে মহাসড়কে মোটর সাইকেল, ইজিবাইক, অটোরিকশা, নছিমন-করিমন বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ। নৌ-পথে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় কঠোরভাবে নিষিদ্ধ করা। রেলপথে টিকিট কালোবাজারি বন্ধ করা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও যাত্রী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা জরুরি। ঈদের আগে ও পরে যানবাহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে।
আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ইকরাম আহমেদ, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আইয়ুবুর রহমান, ডিটিসিএর সাবেক নির্বাহী পরিচালক ড. সালহ উদ্দিন আহমেদ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক হোসাইন আহমেদ মজুমদার প্রমুখ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.