ঈদের দিনে রাজস্থানে সংঘর্ষ, ইন্টারনেট বন্ধ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: শুরু হয়েছিল সোমবার রাত থেকে। মঙ্গলবার আবার রাজস্থানের যোধপুরে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ হলো। ইন্টারনেট বন্ধ। যোধপুর হলো মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের শহর। এখান থেকেই তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। সেখানেই সোমবার জালোরি গেট এলাকায় পতাকা তোলা নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ শুরু হয়।
যোধপুরে তিনদিন ধরে পরশুরাম জয়ন্তী পালন করা হচ্ছে। মঙ্গলবার ঈদও পালন করা হচ্ছে। দুই পক্ষই বিভিন্ন জায়গায় পতাকা লাগাচ্ছেন। জালোরি গেট এলাকায় একটি জায়গায় পতাকা ও লাউডস্পিকার লাগানো নিয়ে রাত ১১টা ৩০ মিনিট নাগাদ গোলমাল শুরু হয়। তর্কাতর্কি থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়।
উত্তেজিত জনতা থানা আক্রমণ করে। পুলিশ লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। জনতা পাথর ছোঁড়ে। পাথরের আঘাতে চারজন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। গভীর রাত পর্যন্ত হাঙ্গামা চলে। তারপর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
মঙ্গলবার সকালে আবার নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। ঘটনাস্থলে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে।
পুলিশের বক্তব্য
যোধপুরের পুলিশ কমিশনার জানিয়েছেন, পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। রাস্তায় ফ্ল্যাগ মার্চ করা হচ্ছে। পুলিশকর্মীদের আঘাত গুরুতর নয়। পুরো যোধপুর জুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইন্টারনেট বন্ধ
যোধপুরে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে।  কোনোরকম গুজব যাতে না ছড়ায় সেজন্য এই ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর আবেদন
মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট টুইট করে সবাইকে শান্তি বজায় রাখতে বলেছেন। তিনি টুইটে লিখেছেন, ”যোধপুর ও মেওয়ারের ঐতিহ্য হলো ভালোবাসা ও সৌভ্রাতৃত্ব। তাই আমি সব পক্ষের কাছে মিনতি করছি, তারা যেন শান্তি বজায় রাখেন এবং আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখতে সাহায্য করেন।”
লাগাতার অশান্তি
গত কয়েক সপ্তাহে দেশের অন্তত পাঁচটি রাজ্যে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষ হয়েছে। রামনবমী, হনুমান জয়ন্তী, রোজা পালনের সময় মধ্যপ্রদেশ, দিল্লি, গুজরাট, ঝাড়খণ্ডের মতো রাজ্য অশান্ত হয়েছে। এবার রাজস্থানেও হলো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.