বিশেষ (নাটোর) প্রতিনিধি: ঈদের ছুটি শেষ হলেও বিনোদন প্রেমীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে রয়েছে নাটোরের বিনোদন কেন্দ্রগুলো। আশেপাশের জেলাগুলো থেকেও ভ্রমণ পিপাসুরা আসছেন প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে। স্বপরিবারে ঘুরতে বের হয়েছেন অনেকে।
ঈদের চতুর্থ দিনেই বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় ,মানুষের ভীড় চোখে পড়ার মতো। কেউ এসেছেন বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে, কেউবা পরিবারের সদস্যদের নিয়ে। পরিবার-পরিজন, আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ঘোরাঘুরি আর আনন্দের মধ্য দিয়েই যেন নাটোরবাসী ভাগাভাগি করছেন ঈদের আনন্দ।
সবচেয়ে বেশি ভীড় লক্ষ্য করা গেছে নাটোরের হালতিবিলের মিনি কক্সবাজার পাটুল-হাঁপানিয়া বীচ, চলনবিলখ্যাত সিংড়া উপজেলার সিংড়া-তাঁড়াশ-বারুহাঁস সড়ক, গুরুদাসপুরের বিলসা, ঐতিহ্যবাহী উত্তরা গণভবন তথা দিঘাপতিয়া রাজবাড়ি, নাটোরের বঙ্গজ্জ্বল রাজবাড়ি, বাগাতিপাডা দয়ারামপুর জমিদার বাড়ি, লালপুরে পদ্মার চর ও ধরাইল জমিদার বাড়ি এবং গ্রীনভ্যালি পার্ক। এগুলোর মধ্যে জনস্রোত লক্ষ্য করা গেছে নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার হালতি বিলের মিনি কক্সবাজার খ্যাত পাটুল-হাঁপানিয়া বীচে।
দুপাশে অবারিত জলধারা আর মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে একটি রা। বর্ষা মৌসুমে রাস্তাটি কয়েক ইঞ্চি পানির নিচে ডুবে থাকে। এতে দূর থেকে মনে হয় বিস্তৃত সুমদ্র। দূর থেকে বিলের মাঝখানে ছোট ছোট গ্রামগুলোকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মতো মনে হয়। পাড়ে বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ে। ঈদের দিন সকাল থেকে হাজার হাজার দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত পাটুল হাপানিয়া বীচ। এছাড়া চলনবিলের সিংড়া-বারুহাঁস-তাঁড়াশ সড়কে উপচে পড়েছেন দর্শনার্থী ও পর্যটকরা।
ঈদকে কেন্দ্র করে ও চলনবিলের সৌন্দর্য দেখতে দেশি-বিদেশী দর্শনার্থী ও পর্যটকরা ভীড় জমাচ্ছেন রাস্তাটিতে। এই উপলক্ষে রাস্তার দুপাশে গড়ে উঠেছে ছোট-বড় অস্থায়ী দোকানপাট।
মিনি কক্সবাজারখ্যাত পাটুল বীচে বগুড়া থেকে সপরিবারে ঘুরতে আসা মেহেদী হাসান বলেন, অনেকদিন ধরেই লোকমুখে শুনলেও এবার প্রথম এসেছি মিনিকক্সবাজারে। তিনি জানান, বছরের অন্যসময় কাজের জন্য বউ-বাচ্চা নিয়ে ঘুরতে বের হওয়া যায় না।
ঈদের ছুটিতে বাচ্চাসহ সপরিবারে একটু ঘুরতে বের হয়েছি। সিংড়া-তাঁড়াশ-বারুহাঁস সড়কে কয়েকজন বন্ধু নিয়ে ঘুরতে আসা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ইসরাত তানজীন বলেন, কম্পিউটার, ইন্টারনেট আর টেলিভিশনের একঘেয়েমি জীবন থেকে বের হয়ে বন্ধুরা সবাই এখানে ঘুরতে এসেছি। ভালো লাগছে চলনবিলের অপরুপ সৌন্দর্যকে।
বাবা-মার সঙ্গে নাটোর শিশু পার্কে ঘুরতে আসা শিশু সুমাইয়ার চোখে মুখে উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা গেছে। পার্কের রাইডগুলো শিশুদের পদচারনা ও হৈ চৈ এ প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছে। এছাড়াও শিশুদের জন্য বাড়তি আনন্দের খোরাক যোগানো নাটোরের লালপুরে গ্রীণভ্যালি পার্কে মা-বাবার সাথে সুন্দর সময় কাটাচ্ছে শিশুরা। সব মিলিয়ে ঈদ মৌসুমে নির্মল বিনোদন উপভোগ করছেন নাটোরবাসী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.