ঈদের ছুটিতে বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদে দর্শনার্থীদের ভিড়

বাগেরহাট প্রতিনিধি: ঈদুল আযহার ছুটিতে ষাটগম্বুজ মসজিদসহ বাগেরহাটের বিনোদন কেন্দ্র গুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। বিশ্ব ঐতিহ্য ষাটগম্বুজ মসজিদ ও হযরত খানজাহানের (রহ.) মাজার দেখতে দেশের বিভিন্ন স্থানের নানা বয়েসের দর্শনার্থীরা ভিড় করছেন এখানে।
এছাড়া বাগেরহাটের চন্দ্রমহল, সুন্দরবন রিসোর্ট, পৌর পার্কসহ মুনিগঞ্জ ও দড়াটানা সেতুতে দর্শনার্থীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মত। মা-বাবার সাথে আসা শিশুরা এসব বিনোদন কেন্দ্রগুলোর বিভিন্ন রাইডে চড়ে আনন্দ উপভোগ করছেন। এ বছর সুন্দরবন ভ্রমনে নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদ আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ করা যাচ্ছে বাগেরহাটের প্রাচীন ও ঐতিহ্যাসিক সব স্থান গুলোতে।
আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সপ্তাহজুড়ে জেলার ঐতিহ্যাসিক ও দর্শণীয় এসব স্থানে পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট প্রতœতত্ব বিভাগ।
ঢাকা থেকে ষাটগম্বুজ মসজিদে পরিবার নিয়ে ঘুড়তে আসা মমো চৌধুরী বলেন, অনেক আগে থেকেই ইচ্ছা ছিলো, মসজিদের শহর বাগেরহাট বেড়াতে আসার। কিন্তু সময়ের অভাবে আশা হয়নি। তাই এ বছর ঈদের ছুটিতে পরিবারের সবাইকে নিয়ে চলে আসলাম। পদ্মা সেতু খুলে দেয়ার পর এখন যোগাযোগ ব্যবস্থাও অনেক ভালো।
ষাটগম্বুজ মসজিদ দেখলাম, খানজাহানের মাজার দেখলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে। এক কথায় বলতে গেলে বাগেরহাটের সব কিছু আমার কাছে অসাধারন লেগেছে। আমাদের দেশে দেখার মত যে অনেক কিছু আছে এখানে না আসলে বুঝতাম না। এছাড়া ষাটগম্বুজ মসজিদ প্রঙ্গনে শিশুদের জন্য নানা ধরনের রাউডের ব্যবস্থা আছে। আমার ছেলে-মেয়েরাও জায়গাটা খুব পছন্দ করেছে। সময় পেলে আবারও আসার ইচ্ছা আছে।
স্বামীর সাথে ঘুরতে আসা প্রতিমা সরকার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার, আমি এই নীতিতে বিশ্বাস করি। আমার শশুর বাড়ী বাগেরহাটে। আমি ও আমার স্বামী কর্মের সুবাদে ঢাকাতে থাকি। বিয়ের পর এ বছরই বাগেরহাটে ঘুরতে আসলাম। আমার অনেক ভালো লেগেছে।
বাগেরহাটের পার্শ্ববর্তী জেলা পিরোজপুর থেকে পরিবার নিয়ে ঘুরতে জামাল হাওলাদার বিটিসি নিউজকে বলেন, বাগেরহাট হলো মসজিদের শহর। এত বছরের প্রাচীন সব মসজিদ দেশের কোথাও দেখা যায় না। আমি এর আগেও বাগেরহাটের এসেছি। এ বছর ঈদের ছুটিতে নাতি-নাতনিসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে আসলাম। তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদ হলো হযরত খানজাহানের একটি অন্যন্যো সৃষ্টি। আমাদের পরবর্তী প্রজন্মসহ সবার এ মসজিদটি দেখতে আসা উচিত বলে আমি মনে করি।
বাগেরহাট পৌরসভার বাসিন্দা মোল্লা মাসুদুল হক বিটিসি নিউজকে বলেন, প্রতি বছরই ঈদে ষাটগম্বুজ মসজিদ ও খানজাহানের মাজারসহ বিভিন্ন স্থানে পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হই। তবে গেল বছরের তুলানায় এ বছর জেলার ঐতিহ্যাসিক স্থাপনাসহ বিনোদন কেন্দ্র গুলো দর্শনার্থীদের উপছে পড়া ভীড় লক্ষ করছি। আমার কাছে মনে হয়, মাছের প্রজনন মৌসুমের জন্য সুন্দরবন ভ্রমনে নিষেজ্ঞার কারনে এসব স্থানে ভীড় বাড়ছে।
বাগেরহাট জাদুঘরের কাস্টোডিয়ান মোঃ যায়েদ বিটিসি নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটিতে গত দু’দিন ষাটগম্বুজ মসজিদসহ জেলার ঐতিহ্যাসিক সব স্থাপনা গুলোতে দর্শনার্থীদের ভীড় লক্ষ করা গেছে। ঘুরতে আসা এসব পর্যটকদের জন্য ২০ জন আনসার সদস্য ও ট্যুরিস্ট পুলিশসহ আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত রয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে সপ্তাহজুড়ে জেলার ঐতিহ্যাসিক ও দর্শণীয় এসব স্থানে পর্যটকদের ভিড় থাকবে বলে জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগেরহাট প্রতিনিধি মাসুম হাওলাদার। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.