ঈদকে সামনে রেখে বাগমারায় সক্রিয় জাল টাকার কারবারিরা!

ফাইল ছবি
বাগমারা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে বাগমারাসহ আশেপাশের উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে জাল টাকার কারবারিরা মাঠে নেমে পড়েছে। তাদের মূল টার্গেট গরু-ছাগলের হাট।
এছাড়া শপিংমল, ব্যাংক ও বীমাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান। বিশেষ করে সহজ-সরল সাধারন মানুষকে টার্গেট করছে ওই চক্রটি। জাল টাকার কারবারিদের নিয়োগকৃত এজেন্টরা ইতোমধ্যেই এই অঞ্চলের বিভিন্ন গরু-ছাগলের হাটে এবং বিভিন্ন পয়েন্টে অপারেশন শুরু করেছে।
সূত্র জানান, চক্রটি অন্যান্য নোটের পাশাপাশি ৫০০ ও ১ হাজার টাকার জাল নোট নিয়েই মাঠে সক্রিয়। এ ব্যাপারে প্রশাসনের নজরদারির পাশাপাশি লেনদেনকারীদেরও ‘নোট দেখে নেওয়ার’ জন্য বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, এ অঞ্চলে সরবরাহকৃত টাকাগুলোর মধ্যে ১০০০, ৫০০ এবং ১০০ টাকার নোটই বেশি। তবে যেসব জাল টাকা সরবরাহ করা হচ্ছে তার মধ্যে ৫০০ টাকার নোটই জাল হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে ২০০৯ সাল থেকে বর্তমান সাল পর্যন্ত মুদ্রিত ৫০ টাকা, ১০০ টাকা, ৫০০ টাকা এবং ১০০০ টাকার নোটের সাইজ একই রকম হওয়ায় সাধারন লোকজন তা সহজেই চিনতে পারেন না।
ফলে অনেকেই ভুল করে ৫ টাকার নোট ভেবে ৫০ টাকার এবং ৫০০ টাকার নোট ভেবে ১০০০ টাকার নোট দিয়ে দেন। তাছাড়া জাল টাকার কারবারীরা এক ধরনের ক্যামিকেল ব্যবহারের মাধ্যমে ১০০ টাকার নোটের ওপরের ছাপা অংশ মুছে দিয়ে সহজেই ৫০০ টাকা এবং ৫০০ টাকার নোটে ১০০০ টাকার ছাপ দিয়ে তা বাজারে সরবরাহ করছে। এ ছাড়াও ৫০ টাকা ও ১০ টাকার নোটেরও জাল টাকা পাওয়া যাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ীরা বলেন, জাল টাকার কারবারীরা টার্গেটে রেখেছে কোরবানীর জন্য গরু-ছাগলের হাট ও ঈদের কেনা কাটার বাজারকে। এসময় সাধারণত মানুষ টাকা বেশি খরচ করেন। ব্যাংকেও লেনদেন হয় বেশি। ফলে মানুষ টাকা দেখে নেয়ার ব্যাপারে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। কিন্তু জাল টাকার কারবারীরা যখন বেপরোয়া তখন এ অঞ্চলের ব্যাংকগুলোতে ‘নোট ডিটেক্ট’ মেশিনও পর্যন্ত দেখা মিলে না।
তাছাড়া সরকার বা ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জাল টাকার ব্যাপারে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করা হয় না। ফলে সাধারণ মানুষ জাল টাকার কারবারীদের খপ্পরে পড়ে বিপদে জড়িয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি তারা আতংকিতও হচ্ছেন।
অনুসন্ধানে দেখা গেছে, এ অঞ্চলের বিভিন্ন গরু-ছাগলে হাটে এবং স্পটে এই জাল টাকার কারবারিরা তাদের ঘাঁটি করেছে। এর মধ্যে উপজেলার মচমইল, ভবানীগঞ্জ, নরদাশ, বাধেরহাট, মাধনগর, বাইগাছা, মচমইল, মাদারীগঞ্জ, মোহনগঞ্জ, একডালা, হামিরকুৎসা, শিকদারী, ও তাহেরপুর পৌরহাটসহ উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে তাদের শক্ত ঘাঁটি রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে ইতি মধ্যে এলাকায় ব্যাপক আলোচনা শুরু হলেও প্রশাসনিক ভাবে আইন শৃংখলবাহিনী ও স্থানীয় কোন সংস্থা প্রতিরোধে এগিয়ে আসেননি বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। এতে করে সহজ সরল মানুষ বেশ ঝুঁকিতে রয়েছেন বলে তারা দাবি করেছেন।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর বাগমারা প্রতিনিধি মোঃ আফাজ্জল হোসেন / রাজশাহী। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.