ইসি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন : ড. কামাল

 

ঢাকা প্রতিনিধি: আজ বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ইসির সঙ্গে বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পুনঃতফসিলসহ সামগ্রিক বিষয়ে আলোচনার জন্য ইসিতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

আজ বুধবার বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আবারো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের বৈঠক শেষে ড. কামাল হোসেন জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, ‘তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যে, সব ব্যাপারে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করবেন যাতে অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন দেশে হতে পারে। আমরা আশা করি, বাকি সময়ে, নির্বাচন চলাকালীনও আমরা একই রকম সহযোগিতা পাবো।

এদিকে, ভোটের তারিখ ৩ সপ্তাহ পেছানো, সেনা মোতায়েনসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিভিন্ন দাবি নির্বাচন কমিশন বিবেচনার আশ্বাস দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা বলেছি নির্বাচনে ইভিএম একেবারেই ব্যবহার করা যাবে না। তারা বলেছেন যে, তারা সব কেন্দ্রে বা বড় আকারে এটা ব্যবহারের কথা চিন্তা করছেন না। তারা শুধু সিটি করপোরেশগুলো সীমিত আকারে ইভিএম ব্যবহারের চিন্তা করছেন। এটা এখনো তাদের চিন্তার মধ্যেই আছে। তারা এটাও বলেছেন যে, যদি আমরা তাদের বুঝাতে পারি যে, ইভিএম পদ্ধতি পুরোপুরি নিরাপদ নয় তাহলে সেটাও তারা বিবেচনা করবেন।

মির্জা ফখরুল আরো বলেন, বিরোধী দলের নির্বাচনে টিকে থাকাটা তাদের আচরণের ওপর নির্ভর করছে। নির্বাচন কমিশন কতটুকু নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করছে তার ওপরই এটা নির্ভর করছে।

নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনে ম্যাজিস্ট্রেসিসহ সেনাবাহিনী নিয়োগের জন্য বলেছি, তারা বলেছে বিষয়টি বিবেচনা করবে। নির্বাচনের আগে জনপ্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের রদবদলের কথা বলেছি। তারা এটাকেও ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছেন।

সাংবাদিকদের মির্জা ফখরুল আরও জানান, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে হয়রানি ও গায়েবি মামলার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদেরকে মামলার বিষয়েও অবহিত করেছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে আর কাউকে যেন গ্রেফতার করা না হয়। এ বিষয়ে তারা হয়রানি ও গায়েবি মামলার তালিকা চেয়েছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচন চলাকালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে কোনো বাধা থাকবে না বলেও নিশ্চিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

বৈঠকে ড. কামাল হোসেন ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও বিএনপির খন্দকার মোশারফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, আবদুল মালেক রতন, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মুনটু, মোকাব্বির খান, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, এস এম আকরাম, জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সুলতান মো. মনসুর আহমদ অংশ নেন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.