ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: যমুনা- ব্রহ্মপুত্র নদ-নদী বিধৌত জামালপুরের ইসলামপুরে চরাঞ্চলের পতিত জমিতে বেড়েছে ভুট্টার চাষ। গত বছরের চেয়ে এ বছর লক্ষমাত্রা অতিক্রম করে ২ হাজার ২৬৬ হেক্টর বেশি জমিতে ভুট্টার চাষ হয়েছে। চলতি মৌসুমে ভুট্টা চাষে অনুকূল আবহাওয়ার জন্য বাম্পার ফলনও আশা করছেন উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, অল্প সময়ে কম খরচে কৃষকেরা লাভবান হওয়ায় ভুট্টা চাষের জনপ্রিয়তা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কম পুঁজি, ঝুঁকিহীন সেচ ও সার প্রয়োগের সুবিধা থাকায় কৃষকদের মাঝে ভুট্টা চাষের প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে উপজেলার কুলকান্দি, বেলগাছা, সাপধরী, পাথর্শী, চিনাডুলী, পলবান্ধা, গাইবান্ধা, গোয়ালের চর, চর গোয়ালীনি, নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এ বছর পতিত জমিতে ভুট্টা চাষ বেড়েছে।
সূত্র জানান, যমুনা-ব্রহ্মপুত্র নদ-নদীর চরাঞ্চলের মাটি ভুট্টা চাষে উপযোগী এবং ভুট্টা চাষ কম খরচে বেশি লাভের ফসল হওয়ায় দিন দিন বাড়ছে ভুট্টা চাষ।বুধবার সরেজমিনে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে দেখা গেছে, বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল জুড়ে শুধু ভুট্টা ক্ষেত।
সিন্দুরতলী গ্রামের জব্বার শেক বিটিসি নিউজকে জানান, ‘ভুট্টা চাষে এক-দুইবার পানি দিলেই হয়। আগাছা পরিষ্কার করতে শ্রমিক লাগে না।’
কুলকান্দী ইউনিয়নের জুবায়দুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, ‘অন্য ফসলের চেয়ে বেশি লাভজনক। আমি ৮ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। এই ফসলের তেমন কোনো শ্রমিকের প্রয়োজন হয় না। কাটা-মাড়াই মেশিনে করায় খরচ আরো কমেছে। যে কারণে চরাঞ্চলের কৃষকরা ভুট্টা চাষে ঝুঁকে পড়েছে।
ইসলামপুর উপজেলা কৃষি অফিসার এ.এল.এম রেজুওয়ান বিটিসি নিউজকে বলেন, ‘ভুট্টা চাষ একটি স্বল্প সময়ের লাভজনক ফসল। পতিত জমিতে স্বল্প সময় এবং স্বল্প খরচে লাভজন হওয়ায় দিন দিন ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছে চরাঞ্চলে কৃষকরা। তাই প্রতি বছর এ অঞ্চলে ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে।’‘এ বছর ইসলামপুরে দুই হাজার ২৬৬ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ক্ষেত অনেক ভালো হয়েছে।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.