ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুরে যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পাশ দিয়ে গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী। বাঁধটি নির্মাণ হলে অকাল বন্যা থেকে মেলান্দহ ও ইসলামপুর উপজেলাসহ জামালপুরের পশ্চিমাঞ্চলের বহু ফসলী জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,রাস্তাঘাট ও বসতবাড়ী বন্যার ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষা পাবে এলাকাবাসী।
জানা গেছে, বর্ষাকালে ফুঁসে উঠা যমুনার পানি বামতীর সিসিব্লকের ওপর দিয়ে প্রবল বেগে বয়ে বিস্তীর্ণ জনপদ প্লাবিত হয়। যার ফলে সাড়ে ৪শত কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পাইলিংয়ে বিভিন্ন স্থানে সিসি ব্লক ধ্বসসহ পার্শবর্তী উপজেলা তথা পশ্চিম জামালপুরের বিভিন্ন ইউনিয়নের ফসল, রাস্তাঘাট, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়ী বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়।
এছাড়াও বন্যার পরবর্তী সময়ে কবলিত মানুষদের বাড়িঘর, রাস্তাঘাটে চরম দূর্ভোগে চলাচল ও মানবেতর জীবন যাপন করতে হয় ।
এলাকাবাসীর দাবী ইসলামপুর চিনাডুলী ইউনিয়নের গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত ৮কিলোমিটার যমুনা বামতীর সংরক্ষণ প্রকল্পের পাশ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ একটি স্থায়ী বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণ করা হলে হাজার হাজার একর ফসলি জমি ও ঘরবাড়িসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।
স্থানীয় চিনাডুলী ইউপি চেয়ারম্যান আ:ছালাম বিটিসি নিউজকে জানান- গুঠাইল থেকে উলিয়া পর্যন্ত বাঁধটি নির্মান হলে মানুষ অকাল বন্যা থেকে রক্ষা পাবে। রাস্তাঘাট,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়ক্ষতি হাত থেকে রক্ষা পাবে।
উপজেলার পরিষদ চেয়ারম্যান এস.এম.জামাল আব্দুন নাসের বাবুল বিটিসি নিউজকে জানান-যমুনার বামতীরে গুঠাইল বাজার থেকে উলিয়া পর্যন্ত পাইলিং এর পাশ দিয়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণ হলে পাইলিংসহ বহু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বন্যার কবল থেকে রক্ষা পাবে।
যমুনা বাম তীরবর্তী মানুষের দূর্ভোগ লাঘবসহ জীবন যাত্রা মান উন্নয়নে জরুরী ভিত্তিতে স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীসহ সরকারের নিকট একটি বাঁধ কাম রাস্তা নির্মাণে দাবী জানান ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসী।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.