ইসলামপুরে ব্রহ্মপুত্রে বালু উত্তোলন, ঝুঁকিতে সেতু

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুর-মেলান্দহ উপজেলার সীমান্তে ফকিরপাড়া পাইলিং ঘাট এলাকায় শত কোটি টাকা ব্যয়ে নব-নির্মিত সেতু নিচে এবং এর আশপাশের প্রায় এক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে অবৈধভাবে বালুমাটি লুটতরাজ চলছে ।
সরকারের আইনের তোয়াক্কা না করেই স্থানীয় একটি সিন্ডিকেট নদী খনন ও বালুবিক্রির এই ব্যবসায় চালিয়ে আসছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিদিন প্রায় ৩০হাজার ঘনফুট মাটি লুট করে নিয়ে যাচ্ছে ওই সিন্ডিকেট।
এ ছাড়াও প্রতিদিন শত শত ট্রাক চলাচলের কারণে ধুলাবালিতে শহরের রাস্তা ও পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। বিষয়টি দেখার কেউ নেই। স্থানীয় সচেতনমহল অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের প্রশাসনে নিকট দাবি জানিয়েছে ।
সরেজমিনে ফকিরপাড়া পাইলিং ঘাট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, সেতুর একদম কাছে থেকে বালু উত্তোলনের কারণে বিশাল গভীর খাদের সৃষ্টি হয়েছে। সেখানে একটি স্বয়ংক্রিয় খননযন্ত্র এ্যাস্কেভেটর গাড়ি গিয়ে নদী খনন করে ট্রাকে বালু তোলা হচ্ছে। শহীদ ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফ (বীরউত্তম) ব্রক্ষ্মপুত্র ব্রিজের তলদেশে বুকজুড়ে চলছে বালুমাটি খনন। সরকার এখানে ১০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সেতুটি নির্মাণ করা হয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের তীরের ইসলামপুর ফকিরপাড়া পাইলিং ঘাট এলাকার একটি সিন্ডিকেট বালু/মাটি উত্তোলন, বিক্রি ও পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। বর্ষার পরপরই প্রতিবছর তারা এই ব্যবসা শুরু করেন। এ বছর গেল বন্যার পর দুই মাস ধরে তারা পুনরায় প্রতিদিন অবৈধভাবে নদী খনন করে বালুমাটি বিক্রি করে আসছেন।
প্রকাশ্যে নানান অজুহাতে নদী খনন করে বালুমাটি উত্তোলন করলেও প্রভাবশালী ওই সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে কেউ কথা বলতে সাহস পায় না। স্থানীয় ইসলামপুর ও মেলান্দহ উপজেলা প্রশাসন ওই রহস্য জনক কারণে কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় সচেতন জনগণের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
অবৈধভাবে নদী খনন করে সেতুর নিচ থেকে মাটি কাটা হচ্ছে এতে করে ওই সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়া এবং নদী তীরের এলাকায় ব্যাপক ভাঙন দেখা দিয়ে ক্ষতির আশঙ্কার করছেন এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, আইন অমান্য করে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে বালু উত্তোলন করছে। বালু পরিহনের ট্রাক গুলো প্রতিদিন অবাধে চলাফেরায় পরিবেশ দূষিত হওয়াসহ মাঝে মধ্যেই ছোটবড় দুর্ঘটনা ঘটছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনে উপজেলা প্রশাসনের নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
ইসলামপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস.এ. মাজহারুল ইসলাম বিটিসি নিউজ এর প্রতিবেদককে জানান, ইতিপূর্বেও অভিযান পরিচালনা করে মাটি বিক্রি বন্ধ করা হয়েছিল এখন আবার শুরু করেছে শুনছি। দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.