ইসলামপুরে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন

ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: মুজিববর্ষ উপলক্ষে জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
গণভবন থেকে আজ বৃহস্পতিবার ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উদ্বোধন করেন।
ধর্ম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খানের নির্বাচনী এলাকা ইসলামপুরে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ধর্মকুড়া বাজারস্থ মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি এবং আলেম উলেমাসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ইসলামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম জামাল আব্দুন নাসের বাবুল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম মাজহারুল ইসলাম ও পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের শেক,ভাইস চেয়ারম্যান আঃ খালেক আকন্দ,রোজিনা আক্তার চায়না,সহকারী কমিশনার ভ’মি রোকনুজ্জামান খান,উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড আঃ সালাম,সহ সভাপতি জামান আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস,আঃ রাজ্জাক লাল মিয়া সহ অন্যন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ইসলামপুরবাসীকে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র উপহার দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ূ কামনা করে দোয়া করেন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব ফরিদুল হক খান দুলাল এমপি জানান- বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে ইসলামী মূল্যবোধের উন্নয়ন এবং ইসলামী সাংস্কৃতি প্রসারে উদ্দ্যেশে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সেই প্রতিশ্রæতি আজ বাস্তবায়নের দারপ্রান্তে। বাংলাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এই প্রথম বর্তমান সরকার এক সঙ্গে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতি কেন্দ্র স্থাপন করছে।
১৯৭৫ সালের ২২মার্চ ইসলামী ফাউন্ডেশন আইনজারী করে মসজিদ ও ইসলামী কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন্ দেখেছিলেন, তারি ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা মাননীন প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংকৃ¦ৃতিক কেন্দ্র স্থাপন কার্যক্রম গ্রহন করে মুসলিম বিশ্বে এক অনন্য অসাধারণ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আধুনিক দৃষ্টিনন্দন মসজিদ,নারী পুরুষদের জন্য পৃথক অজুর স্থান, নামাজ কক্ষ,ইমাম প্রশিক্ষন কেন্দ্র,হফেজ খানা,গণশিক্ষা কেন্দ্র, গবেষনা কেন্দ্র,পাঠাগার, শিশু শিক্ষা, মৃতদেহ গোছলের ব্যবস্থা,জানাযার ব্যবস্থা,অটিজম কর্ণার, ইকর্ণার বিদেশী পর্যটকদের আবাসনের ব্যবস্থা, হজযাত্রীদের নিবন্ধনকেন্দ্র ,ইমামদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা,ইমাম মুয়াজ্জিম ট্রেনিং, আবাসন সহ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কর্মকর্তা কর্মচারীদের জন্য অফিসের ব্যবস্থা,মসজিদের আন্ডারগ্রাউন্ডে বিশাল পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে ।
সরকারে টেকসহ উন্নয়ন লক্ষ মাত্রা অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ন উপাদান শুদ্ধাচার কৌশল। আদর্শ ও চরিত্রবান নাগরিক গঠনে এই মসজিদ ও সাংস্কৃতিক প্রশিক্ষ্ণ,গবেষনা,সভা,কর্মশালা,ওয়াজ মাহফিল,সেমিনার, সিম্থোজিয়াম আয়োজনের ব্যবস্থা রয়েছে।
এখানে লাইব্রেবী গবেষনা সহ ইসলামী মূল্যবোধের চর্চা, প্রচার ও বিকাশের নানা মূখি ব্যবস্থা রয়েছে। এর মাধ্যমে একটি দূর্নীতি শোষন মুক্ত,ন্যায় ভিত্তির স্বপ্নেন সোনার বাংলা গঠনে,উল্লেখ যোগ্য অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে। সরকার উদ্যোগ ও অর্থায়নে একই সাথে এতগুলো মসজিদ নির্মানের এই মহতি উদ্যোগ জাতির ইতিহাসে শুধু নয়, মুসলিম উম্মার ইতিহাসেও স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।
নির্মানাধীন ইসলামীক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র অত্যাধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্মোলিত এসব কমপ্লেক্স এদেশের সর্বস্তরের আলেম ওলামার কর্মস্থান সৃষ্টিতে ও বিশাল ভ’মিকা পালনহর বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অবিচ্ছেদ্ধ অঙ্গ হিসাবে কাজ করবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.