ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি: জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় চলতি মৌসুমে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মধ্যে বিনামূল্যে সার বীজ পাচারে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কালোবাজারি চক্র।
কালোবাজারিদের থাবায় প্রতি নিয়তই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারণ কৃষক।
জানাগেছে, উপজেলায় বির্ভিন্ন ইউনিয়নে মাস্টার রোলের মাধ্যমে জনপ্রতি কৃষকের মাঝে সরিষা বীজ ১ কেজি, ডিএপি সার ১০ কেজি ও এমওপি সার ১০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে।
তবে প্রণোদনার সার ও বীজ উত্তোলন করা মাত্রই আগে থেকে উৎ পেতে থাকা কালোবাজারীরা কৃষকদের নিকট কম মূল্যে ক্রয় করে দ্রুত অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। এতে কৃষকের মাস্টার রোলের তালিকার অনিয়ম নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে, তেমনি কালোবাজারিদের থাবায় সাধারণ কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকালে সরেজমিনে কৃষি অফিস চত্তরে দেখা যায়, কৃষকদের বরাদ্দকৃত সার ও বীজ কালোবাজারীরা কম মূল্যে ক্রয় করে দ্রুত সরিয়ে ফেলছে। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল বলেন,আমার অফিসের সামনে থেকে সার-বীজ বিক্রি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই।
এছাড়া সার-বীজ বিতরণের আগে মাস্টাররোলে স্বাক্ষর নেওয়া সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত। অন্যদিকে পলবান্ধা ইউনিয়নের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আইয়ুব আলী এর বক্তব্য ভিন্ন।
তিনি জানান, আমাদের সুবিধার্থে আমরা মাস্টাররোল স্বাক্ষর/টিপসই নিয়ে স্লিপ বিতরণ করি। দুই কর্মকর্তার বক্তব্যে অসঙ্গতি দেখা দেওয়ায় বিতর্কের সৃষ্টি হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিতরণ চলাকালিন কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল ফয়সাল তার অফিসের সামনেই সার-বীজসহ একজন কালোবাজারিকে হাতেনাতে আটক করেন। তবে প্রশাসনিক কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বিটিসি নিউজকে জানান, বিষয়টি অবহিত হয়েছি। কালোবাজারিদেরকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি লিয়াকত হোসাইন লায়ন। #

















