ইসরায়েলের ৬০ সেনার ওপর ফিলিস্তিনের হামলা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধ ফেরার পর আবারও বড় হামলার মুখে পড়েছে ইসরায়েলি সেনারা। হামাস জানিয়েছে, তারা ইসরায়েলের ৬০ সেনার ওপর হামলা চালিয়েছে। রোববার (৩ ডিসেম্বর) তুরস্কের সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হামাসের সামরিক শাখা জানিয়েছে, তারা গাজায় ইসরায়েলি সেনাদের একটি তাঁবু লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। ওই তাঁবু ইসরায়েলের ৬০ সেনা অবস্থান করছিলেন।
আল কাসেম ব্রিগেড জানিয়েছে, ৩টি স্থানে বৃত্তাকারে সেনাবিধ্বংসী গ্রেনেড ছুড়েছে ব্রিগেডের সেনারা। এগুলো ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিস্ফোরিত হয়েছে। হামলার লক্ষ্যবস্তুতে ইসরায়েলি সেনাদের একটি তাবু ছিল। জুহর আদ-দিকের পূর্বাঞ্চলের তাঁবুতে এ হামলা করা হয়।
বিবৃতিতে তারা আরও জানিয়েছে, এ হামলা থেকে যে সেনারা বেঁচে গেছে তাদের লক্ষ্য করে আবারও হামলা করা হয়েছে।
আলকাসেম ব্রিগেড এ হামলার দাবি করলেও ইসরায়েলের সেনাবিাহিনী এ বিষয়ে কিছু জানায়নি।
কয়েক দিনের যুদ্ধবিরতির পর চলতি সপ্তারেহ শুরুতে আবার ইসরায়েল গাজায় হামলা শুরু করেছে। ইসরায়েলের এ হামলায় গত ২৪ ঘণ্টায় সাত শতাধিক লোক নিহত হয়েছে বলে দাবি করেছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গাজায় ইসরায়েলি হামলার পরিণতি নিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছে ইরান। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসাইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতির প্রধান জোসেফ ব্যারেলের সঙ্গে ফোনালাপে শনিবার (২ নভেম্বর) এ সতর্কবার্তা দেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সতর্কবার্তা দিয়ে তিনি বলেন, ইসরায়েল যদি ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করে তাহলে এ যুদ্ধ গভীর আঞ্চলিক সংঘাতে রূপ নেবে।
তিনি বলেন, যদি গাজা ও পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি প্রশাসন যুদ্ধাপরাধ বন্ধ না করে তাহলে এ যুদ্ধের পরিধি বেড়ে যাবে। এটি আঞ্চলিকভাবে আরও গুরুতর হবে এবং পরিধি ছড়িয়ে পড়বে।
আলোচনায় আব্দুল্লাহিয়ান ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূখণ্ড থেকে জোর করে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনার নিন্দা জানান। তিনি বলেন, যত দ্রুত সম্ভব গাজায় ইসরায়েলের সামরিক হামলা বন্ধ করা দরকার।
গাজায় ইসরায়েল হামলা শুরুর পর থেকে ইরানপন্থি লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ ও ইয়েমেনের বিদ্রোহী গোষ্ঠী হুতিরা সক্রিয় অবস্থানে রয়েছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.