ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ইরান কি সরাসরি জড়িয়ে পড়বে যুদ্ধে?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তবে কি ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সরাসরি যুদ্ধে অংশ নেবে ইরান? গাজা উপত্যকায় তেল আবিবের আগ্রাসন শুরুর পর থেকেই, শুরু হয়েছে দেশটির দৌড়ঝাঁপ। এই ইস্যুতে মধ্যপ্রাচ্যে তারাই সবচেয়ে সোচ্চার। লেবানন, সিরিয়ার সফরের পাশাপাশি, ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক করেছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সাথেও। গাজায় ইসরায়েল বাড়াবাড়ি করলে যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যে ছড়িয়ে পড়বে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে দেশটি।
চলমান ইসরায়েল-হামাস সংঘাতে বারবার উঠে এসেছে ইরানের নাম। তেলআবিবের অভিযোগ, ইরানের সমর্থন ও সহযোগিতায়ই তাদের ভূখণ্ডে ঢুকে হামলা চালিয়েছে হামাস। চলমান যুদ্ধে হামাসকে সহযোগিতার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে ইরান। তবে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামাসের হামলাকে ঐতিহাসিক বিজয় বলেও আখ্যা দিয়েছে তারা।
সংঘাত শুরুর পরই ইসরায়েলকে থামাতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়িয়েছে তেহরান। সম্পর্ক স্বাভাবিক করার পর প্রথমবার সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে ফোনালাপ করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রইসি।
বারবার ইরান আগ্রাসন বন্ধের আহ্বান জানালেও সময়ের সাথে ইসরায়েলের নৃশংসতা তো কমছেই না, উল্টো বাড়ছে। এরই মধ্যে সীমিত আকারে ইহুদি সেনারা স্থল অভিযানও শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে, কড়া হুমকি দিয়েছে তেহরান। তাদের হুঁশিয়ারি, গাজায় বাড়াবাড়ি হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে, যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়বে মধ্যপ্রাচ্যে।
ভৌগলিক ও রাজনৈতিক কারণে সবার আগে যুদ্ধে জড়ানোর শঙ্কা লেবানন ও সিরিয়ার। এরইমধ্যে, হিজবুল্লাহর ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সাথে বৈঠক করেছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া কাতারে গিয়ে সাক্ষাৎ করেছেন হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়ার সাথে।
ধারণা করা হচ্ছিলো, এই হিজবুল্লাহ ও সিরিয়ার মাধ্যমেই ইরান যুদ্ধে অংশ নেবে। পরিস্থিতি যেভাবে ঘোলাটে হচ্ছে, সংঘাতে তাদের সরাসরি জড়িয়ে পড়ার শঙ্কাও বাড়ছে। এরইমধ্যে অভিযোগ উঠেছে, ইসরায়েলে হামলা চালাতে সিরিয়ায় অস্ত্র মোতায়েনের চেষ্টা চালিয়েছে ইরান।
এদিকে, সতর্কবার্তা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও। মার্কিনিদের শঙ্কা, কেবল সিরিয়া-হিজবুল্লাহর মাধ্যমে নয়, ইরান সরাসরি জড়িয়ে পড়তে পারে এই সংঘাতে। দীর্ঘদিন ধরে, নিজ দেশ থেকে ইসরায়েলের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম মিসাইল-ড্রোনসহ অনেক অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র বানাচ্ছে তেহরান। সেসব অস্ত্র এই যুদ্ধে ব্যবহার করতে পারে বলেও শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.