ইসরাইল কি জাতিসংঘে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব মানবে?

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাব জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়ার পর ইসরাইল প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিন। তবে গাজা নিয়ে কোনো অর্থহীন আলোচনা করা হবে না বলে জানিয়েছে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি প্রতিনিধি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নিরাপত্তা পরিষদে পাস হওয়া প্রস্তাবটিকে স্বাগত জানিয়ে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি দূত রিয়াদ মনসুর বলেছেন, এটা বাস্তবায়নের ভার এখন ইসরাইলের হাতে।
তিনি আরও বলেন, আমরা যুদ্ধবিরতি চাই। প্রস্তাবটি ঠিক পথেই রয়েছে। সব ফিলিস্তিনি এটাকে স্বাগত জানাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব ইসরাইলের পক্ষ থেকে এটা বাস্তবায়ন করতে হবে। ফিলিস্তিনি বন্দীদের মুক্তি দিতে হবে। তবেই এই প্রস্তাব স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রূপ নেবে।
যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব পাস হওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলি প্রতিনিধি রুট শাপির বেন-নাফতালি বলেছেন, তারা গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবেন এবং হামাস উপকৃত হয় এমন কোনো অর্থহীন আলোচনায় অংশ নেবে না।
বিশ্লেষকেদের মতে, ইসরাইলের প্রতিনিধির এ ধরনের বক্তব্য থেকে অনুমান করা যায়, তারা যুদ্ধবিরতি কার্যকরের ব্যাপারে আগ্রহী নয়।
সোমবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজায় যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের দেয়া প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হয়। প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ১৪ টি। ভোট দেয়া থেকে বিরত ছিল রাশিয়া।
ইসরাইল ও হামাসকে অবিলম্বে এই প্রস্তাব মেনে নেয়ার আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত মার্কিন দূত। একে নতুন সুযোগ বলেও অভিহিত করা হয়।
এদিকে নিরাপত্তা পরিষদের এই অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস।
এক বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে যা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি, ইসরাইলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, বন্দিদের বিনিময় এবং গাজার পুনর্গঠনকে তারা স্বাগত জানায়। কীভাবে যুদ্ধবিরতির শর্তগুলো বাস্তবায়ন করা যায়, তা নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর সঙ্গে কাজ করতে ইচ্ছুক হামাস। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.