ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীদের মধ্যে ফোনালাপ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে বৈঠকে বলেছেন যে ইরানের ব্যাপক প্রস্তুতি থেকে বোঝা যায় তারা ইসরাইলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের হামলা চালাতে যাচ্ছে।
ইসরাইলের গোয়েন্দা বিভাগগুলো তাদের মিত্রদের সহায়তায় ইরানের হামলার ধরণ, উদ্দেশ্য ও সময় বের করার চেষ্টা করছে। একটি হিব্রু সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, একই প্রেক্ষাপটে, মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন এবং ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এই অঞ্চলের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফোনে কথা বলেছেন।
এই ফোনালাপে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইলের প্রতি ওয়াশিংটনের জোরালো সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সাথে তিনি পশ্চিম এশিয়ায় মার্কিন সামরিক শক্তি জোরদার করার লক্ষ্যে ক্ষেপণাস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন এবং F-35C যুদ্ধবিমান সজ্জিত আব্রাহাম লিঙ্কন যুদ্ধ জাহাজ পাঠানোর কথা বলেছেন।
ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সাথে টেলিফোনালাপে আরও বলেছেন, ইরানের ব্যাপক প্রস্তুতি ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের বড় আকারে হামলার ইঙ্গিত।
এদিকে, কিছুদিন আগে “সেন্টকম” নামে পরিচিত পশ্চিম এশিয়া, মধ্য এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকা অঞ্চলে অবস্থিত মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর কমান্ডার মাইকেল কুরিলা তেলআবিব সফরে গিয়ে ইসরাইলের যুদ্ধমন্ত্রীর সাথে দেখা করেন।
এই ঊর্ধ্বতন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তার ইসরাইল সফরকে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়াহকে হত্যার জন্য ইরানের সামরিক হামলা মোকাবেলার উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা বলে মনে করা হচ্ছে।
আমেরিকা এমন সময় ইসরাইলের প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানাচ্ছে যখন কিছুদিন আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন আগে থেকে রেকর্ডকৃত সিবিএস টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাতে গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার পথে ইসরাইলি বাধার কথা উল্লেখ না করে বলেছেন, আগামী নভেম্বর অনুষ্ঠেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে গাজা সংঘাত এড়াতে সাফল্য পাওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
উল্লেখ্য, ইসরাইল এ পর্যন্ত হামাসের সঙ্গে যেকোনো চুক্তির বিরোধিতা করেছে।
সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুসারে, গত বছরের ৭ অক্টোবর তারিখে গাজায় ইসরাইলের নতুন দফা আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ৯০ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে। ইসরাইল নামক অবৈধ রাষ্ট্রটি ১৯১৭ সালে ব্রিটিশদের পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর বিভিন্ন দেশ থেকে ফিলিস্তিনি ভূমিতে ইহুদিদেরকে আনা হয়। এরপর ১৯৪৮ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরাইল রাষ্ট্রের ঘোষণা করা হয়। তারপর থেকে ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা এবং তাদের ভূমি দখলের প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের নেতৃত্বে বেশ কয়েকটি দেশ প্রথম থেকেই ইসরাইলি দখলদারিত্বের বিলুপ্তি এবং এখানে আসা ইহুদিদের যে যার দেশে ফিরে যাওয়ার ওপর দিয়ে আসছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.