ইসরাইল উপকূল ছাড়ছে মার্কিন রণতরী

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দুই মাসেরও বেশি সময় পর ভূমধ্যসাগর ছাড়ছে মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড।
যুক্তরাষ্ট্রের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা সোমবার সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভার্জিনিয়ার নরফোক বন্দরে ফিরে যাবে বিমানবাহী রণতরী ও অন্যান্য জাহাজ। ক্যারিয়ার গ্রুপটি ভবিষ্যতে মোতায়েনের জন্য প্রস্তুতি নিতে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসছে। নির্ধারিত সময় অনুযায়ী হোম পোর্টে পুনরায় মোতায়েন করা হবে।’
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এ অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সক্ষমতা থাকবে এবং ভূমধ্যসাগর ও মধ্যপ্রাচ্যে অতিরিক্ত ক্রুজার ও ডেস্ট্রয়ার মোতায়েনের নমনীয়তা থাকবে।’
দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘আজ তাদের ঘোষণা করার মতো কিছুই নেই।’
৭ অক্টোবর হামাসের ইসরাইল অভিযানের পরের দিন নৌবাহিনীকে এ অঞ্চলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন।
নৌবাহিনী বলেছে, তারা এ অঞ্চলে সামুদ্রিক নিরাপত্তা জোরদার করতে মিত্র ও অংশীদারদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে। ৭ অক্টোবর ইসরাইল-হামাস সংঘর্ষের পর থেকে ওয়াশিংটন ইসরাইলকে অসংখ্য সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।
ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড এবং অন্যান্য যুদ্ধজাহাজসহ ভূমধ্যসাগরে তার বাহিনীকে শক্তিশালী করেছে। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গাজায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ১৮৫ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় নিহত হয়েছেন ২০৭ জন। আহত হয়েছেন ৩৩৮।
এদিকে, ইসরাইলি সুপ্রিমকোর্ট সোমবার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিচার বিভাগীয় সংশোধনের একটি মূল অংশকে বাতিল করেছে। মঙ্গলবার বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বিতর্কিত বিচারিক সংস্কারটি গত বছরের জুলাইয়ে ইসরাইলের পার্লামেন্ট নেসেটের মাধ্যমে পাশ করা হয়েছিল।
আইনটির অর্থ হলো সরকার সুপ্রিমকোর্টের সিদ্ধান্তগুলো বাতিল করতে এবং বিচারক নিয়োগের জন্য নির্বাহী শাখাকে আরও ক্ষমতা দিতে পারবে। সুপ্রিমকোর্টের ক্ষমতা সীমিত করার পরিকল্পনাই ছিল এই আইনের মূল উদ্দেশ্য। বিতর্কিত এ বিচারিক সংস্কারের পরিকল্পনার কারণে সরকারের বিরুদ্ধে দেশজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছিল। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.