বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের রাজধানী তেহরানে পারমাণবিক ও সামরিক স্থাপনাকে মূল লক্ষ্যবস্তু করে দেশটিতে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। শুক্রবার ইরানের স্থানীয় সময় ভোর ৪টার দিকে তেহরানে একাধিক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। এর কিছু সময় পর, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) মুখপাত্র ইফি ডেফ্রিন শুক্রবার সকালে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ইরানে ১০০টির বেশি স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। এতে অংশ নিয়েছে ২০০টির বেশি যুদ্ধবিমান।
ইরান সরকারিভাবে তাদের আকাশসীমা বন্ধ ঘোষণা করেছে। এই হামলার প্রভাব পড়েছে প্রতিবেশী দেশ ইরাকেও। কাতার এয়ারপোর্টের ফ্লাইট ইনফরমেশন বোর্ডে দেখা যাচ্ছে, ইরানের পাশাপাশি ইরাকগামী ফ্লাইটগুলো একের পর এক বাতিল হচ্ছে।
নিরাপত্তাজনিত কারণে বিভিন্ন এয়ারলাইনস ইরাকের আকাশপথও এড়িয়ে চলতে শুরু করেছে। কারণ, ইরানের প্রতি অনুগত, এমন ইরাকি সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো বারবার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, ইরানে যদি মার্কিন বা ইসরায়েলি হামলা হয়, তাহলে মার্কিন ঘাঁটিগুলো, বিশেষত ইরাকের, বৈধ লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানির একজন উপদেষ্টা জানান, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে ইরাক সরকার টানা আলোচনা চালাচ্ছে, যাতে ইরানের ওপর হামলা হলে ওই গোষ্ঠীগুলো কোনো পাল্টা প্রতিক্রিয়া না দেখায়। কারণ, ইরাক কোনো নতুন যুদ্ধে জড়াতে চায় না।
ইরাকের প্রধানমন্ত্রীর আরেকজন ফরেন পলিসি বিষয়ক উপদেষ্টা এর আগে সতর্ক করে বলেছিলেন– ইরানে যদি এবার কিছু ঘটে, তাহলে তা এমন কিছু হবে যা আমরা আগে দেখিনি।
এর আগে ইরান ও ইসরায়েলের মাঝে পাল্টাপাল্টি হামলা দেখা গেলেও ইরানের মাটিতে এমন সরাসরি সামরিক অভিযান ইরান-ইরাক যুদ্ধের পর এবারই প্রথম।
ইরানে ইসরায়েলি হামলার এই সময়টিও বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মাত্র দুইদিন বাদেই আগামী রোববার ওমানের মাস্কটে ইরান ও যুক্তরাষ্ট্রের ষষ্ঠ দফা আলোচনা হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে ইরান জানিয়ে দিয়েছে এই বৈঠক আপাতত হচ্ছে না। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.