বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের শিরোপা ধরে রাখার অভিযাত্রায় যে মুখোমুখি হতে হয়েছে ১৯৬৮ থেকে ১৯৭৬ পর্যন্ত হ্যাটট্রিক শিরোপাজেতা ইরানের। সেই পরীক্ষায় উতরে গেছে কাতার। ইরানকে ৩-২ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় ফাইনালে উঠেছে স্বাগতিকরা।
দোহার আল থুমামা স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় সেমিফাইনাল শুরুর চতুর্থ মিনিটেই স্বাগতিকদের হতবাক করে দেন ইরানের স্ট্রাইকার সরদার আজমাউন। তার গোলে এগিয়ে যায় ইরান। ম্যাচে ফিরতে কাতারেরও বেশি সময় লাগেনি। ১৭তম মিনিটে সমতাসূচক গোল করেন জাসেম গাবের আব্দুলসালাম। তারকা স্ট্রাইকার আকরাম আফিফের বাড়িয়ে দেওয়া বল থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন এ মিডফিল্ডার।
প্রথমার্ধ শেষের দুই মিনিট বাকি থাকতেই ব্যবধান দ্বিগুণ করে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এবার গোলদাতার নাম আকরাম আফিফ। তাকে বল যোগান দেন মিডফিল্ডার আহমেদ ফাতেহি। ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় কাতার।
দ্বিতীয়ার্ধে খেলার উত্তেজনা আরও বাড়ে। স্বাগতিকদের চেহারা মলিন হয় ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারিরর সহায়তায় ইরান পক্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত এলে। সেই সুযোগ হাতছাড়া করেননি আলিরেজা জাহানবখশ। ৫১ মিনিটে আবারও ম্যাচে সমতা ফিরে আসে এই গোলে।
৮২ মিনিটে হাতেমের পাস থেকে কাতারের জয়সূচক গোলটি করেন আলমোয়েজ আলী। ইরান শিবিরে শেষ পেরেক হিসেবে যোগ করা সময়ে আসে লাল কার্ড। ১০ জনের ইরান আর পারেনি গোলশোধ করতে। সেমি থেকেই বিদায় নিতে হয় তিনবারের চ্যাম্পিয়নদের।
গত আসরে অপরাজিত হিসেবে এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট মাথা পড়েছিল ‘মেরুন’রা। এখনো পর্যন্ত হারের স্বাদ পেতে হয়নি তাদের। কোয়ার্টার ফাইনালে উজবেকিস্তানকে টাইব্রেকারে হারালেও সেটিই ছিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে না জেতা তাদের প্রথম ম্যাচ। আগামী শনিবার রাত ৯টায় জর্দানের বিপক্ষে শিরোপা নির্ধারণী ফাইনালে মুখোমুখি হবে কাতার। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.