ইরানের রকেট উৎক্ষেপণ নিয়ে জার্মানি ও যুক্তরাষ্ট্র’র উদ্বেগ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্কইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আহমাদ হোসেইনি বৃহস্পতিবার মহাকাশে কৃত্রিম উপগ্রহ পাঠানোর কথা জানিয়েছেন। আহমাদ হোসেইনি বলেন, নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট সি-মোর্গে করে তিনটি গবেষণাধর্মী ডিভাইস মহাকাশে পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, মহাকাশ গবেষণার এই মিশনে প্রথমবারের মতো একসঙ্গে তিনটি ডিভাইস পাঠানো হয়েছে। এসব ডিভাইস মহাকাশের কক্ষপথে ৪৭০ কিলোমিটার উচ্চতায় অবস্থান করবে।
ইরান এ গবেষণাধর্মী স্যাটেলাইট পাঠানোর পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে আমেরিকা ও জার্মানি।
দেশ দুটি ইরানকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘনের দায়ে অভিযুক্ত করেছে। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে অনুমোদন করে ওই প্রস্তাব পাস করা হয়।
ইরানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানান, রকেট উৎক্ষেপণের সময় মহাকাশ কেন্দ্রের সব কিছুই নিখুঁতভাবে কাজ করেছে এবং পরিকল্পনামতো স্যাটেলাইট বহনকারী রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। চূড়ান্তভাবে মহাকাশ গবেষণা পরিকল্পনার লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন মুখপাত্র বলেন, ইরান মহাকাশে রকেট পাঠানোর প্রযুক্তি অর্জন করে পরমাণু অস্ত্র বিস্তারের দিক ঝুঁকছে, যা ওয়াশিংটনকে উদ্বিগ্ন করে তুলছে।
জার্মান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ইরানের এ পদক্ষেপের ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করে স্যাটেলাইটাবাহী রকেট উৎক্ষেপণ না করতে তেহরানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
দুটি দেশই দাবি করেছে, ইরান রকেট উৎক্ষেপণের মাধ্যমে নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব লঙ্ঘন করেছে।
ইরান এর আগে বহুবার বলেছে— জাতিসংঘের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবে ইরানকে শুধু পরমাণু অস্ত্রবাহী ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করতে নিষেধ করা হয়েছে এবং ইরান কখনও এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণ করেনি এবং ভবিষ্যতেও করবে না। (সূত্র: রয়টার্স)। #

 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.