বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) ক্ষেপণাস্ত্র-কেন্দ্রিক একটি চলমান সামরিক মহড়ার আড়ালে তেল আবিবে হামলা চালাতে পারে বলে মার্কিন প্রশাসনকে সতর্ক করেছে ইসরাইল।
ইসরাইলি ও মার্কিন সূত্রের বরাতে রোববার (২১ ডিসেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরে হামাসের হামলার পর ইসরাইলের ‘ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা’ উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। প্রায় ছয় সপ্তাহ আগেও ইসরাইল একই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র তৎপরতা দেখে সতর্কবার্তা দিয়েছিল, যদিও তখন কোনো হামলা হয়নি।
ইসরাইলি একটি সূত্র অ্যাক্সিওসকে জানিয়েছে, ‘ইরানের আক্রমণের শঙ্কা ৫০ শতাংশেরও কম। কিন্তু কেউই ঝুঁকি নিতে এবং বলতে রাজি নয় যে এটি কেবল একটি মহড়া।’
তবে এক মার্কিন সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো এখনো এমন কোনো প্রমাণ পায়নি, যা থেকে ইরানের আসন্ন হামলার কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়।
প্রতিবেদন অনুসারে, দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি আসতে পারে ভুল হিসাব থেকে। যেখানে এক পক্ষ মনে করতে পারে অন্য পক্ষ হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং সে কারণে আগাম পদক্ষেপ নিতে পারে।
অ্যাক্সিওসের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, জুন মাসের যুদ্ধে ইরান তাদের ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডারের প্রায় ৫০ শতাংশ হারিয়েছে। বর্তমানে তাদের কাছে আনুমানিক ১,৫০০ ক্ষেপণাস্ত্র ও ২০০টি লঞ্চার রয়েছে। যদিও তেহরান উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা করছে।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, মোসাদ ও ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সেসের (আইডিএফ) সামরিক গোয়েন্দা শাখা মনে করে না যে ইরানের পুনরায় অস্ত্র মজুতের বর্তমান গতি তাৎক্ষণিক সামরিক পদক্ষেপের প্রয়োজন তৈরি করছে। তবে কয়েক মাসের মধ্যে পরিস্থিতি আরও গুরুতর হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা তাদের।
অ্যাক্সিওস জানায়, আইডিএফ-প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল ইয়াল জামির সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের প্রধান অ্যাডমিরাল ব্র্যাডলি কুপারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং ইরানের সামরিক মহড়া নিয়ে উদ্বেগ জানান। রোববার তারা তেল আবিবে সাক্ষাৎ করেন, যেখানে প্রতিরক্ষামূলক প্রস্তুতি নিয়ে দুই দেশের সেনাবাহিনীর ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ের ওপর জোর দেন জামির।
আইডিএফ এই প্রতিবেদনের বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। সেন্টকমও অ্যাক্সিওসের মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি। #















