ইরান’র ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক : এরদোগান

(ইরান’র ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক : এরদোগান–ছবি: সংগৃহীত)
বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে কথা বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। গতকাল রবিবার (২১ ফেব্রুয়ারী) দুই নেতার মধ্যে টেলিফোনে কথা হয়। এ সময় এরদোগান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমি চাই ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাক। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তুরস্কের যোগাযোগ দপ্তরের পরিচালক।
টেলিফোনে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট ইরানের প্রেসিডেন্টকে বলেন, নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনা হবে, তেহরানের এমন শর্তারোপকে সম্ভাবনা হিসেবে দেখছে তুরস্ক। আমার বিশ্বাস ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে।
অর্থনীতি, পরিবহন, নিরাপত্তা ও অন্যান্য বিষয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদারে দুই নেতার মধ্যে এসময় আলোচনা হয়। আঙ্কারা ও তেহরানের সম্পর্ক উন্নয়নে তুরস্ক অঙ্গীকারাবদ্ধ বলে জানিয়েছেন এরদোগান।
রুশ সংবাদ সংস্থা আরটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাসেম সোলাইমানিকে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় সহমর্মিতা প্রকাশ করেন এরদোগান। তিনি সোলাইমানিকে শহিদ বলে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে ইরানি জনগণের ক্ষোভ ও আবেগ তিনি বোঝেন বলেও জানান এরদোগান। মধ্যপ্রাচ্যে বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে তুরস্কের অবস্থান বলেও জানান এরদোগান।
মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে ইরানের বিরুদ্ধে অন্যায় নিষেধাজ্ঞার কথা উল্লেখ করে প্রেসিডেন্ট রুহানি বলেন, তেহরান বারবার বলেছে– যুক্তরাষ্ট্র যদি এসব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়, তা হলে ইরানও দ্রুত পরমাণু সমঝোতা বাস্তবায়নের ধারায় ফিরবে। ইরানের এ দাবি যৌক্তিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
টেলিফোন কথোপকথনে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা কবলিত দেশগুলোর ঐক্যই হচ্ছে মার্কিন আধিপত্যবাদ ও তাদের অবৈধ পদক্ষেপ মোকাবিলার শ্রেষ্ঠ উপায়। এ সময় তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে তুরস্কের প্রতি ইরানের পক্ষ থেকে অকুণ্ঠ সমর্থন ঘোষণা করেন। যুক্তরাষ্ট্রের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ইরানের সঙ্গে যৌথভাবে দৃঢ় অবস্থান নিতে তুরস্কের প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানান তিনি। কাসেম সোলাইমানি হত্যার ঘটনা তুলে ধরে রুহানি তুর্কি রাষ্ট্রপ্রধানকে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।
‘যদি আমরা যুক্তরাষ্ট্রের এসব আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থান না নিই, তবে এ অঞ্চল ভয়াবহ ঝুঁকির মুখে পড়বে। জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় তুরস্ক ও ইরান যৌথ ব্যবস্থা নিয়ে আসছে।’
ড. রুহানি আরও বলেন, ইরান সবসময় বলে আসছে– যুক্তরাষ্ট্র কোনো পদক্ষেপ নিলে ইরানও পাল্টা ব্যবস্থা নেবে।
প্রেস টিভির খবরে বলা হয়েছে, টেলিফোন সংলাপে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা সম্পর্ক বাড়াতে দুই দেশের মধ্যকার যৌথ কমিশনের বৈঠক অনুষ্ঠানের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইরান ও তুরস্কের মধ্যে কার্যকর আলোচনা আঞ্চলিক শান্তি এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে। (সূত্র: ডেইলি সাবাহ-আনাদোলু)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.