ইবিতে অভয়ারণ্যের উদ্যোগে ‘কুহেলিকা আগমন উৎসব’

ইবি প্রতিনিধি: শীতকে বিশেষায়িত করতে এখন আর ‘হাড়কাপানো’ বিশেষণ ব্যবহৃত হয় না। শীত মানে এখন হিমকে বরণ করে নেয়ার আনন্দ আয়োজন, প্রকৃতির পালাবদলকে উদযাপনের অনবদ্য উপলক্ষ। এই বরণ আয়োজন পৃথিবীর নানা দেশে করা হয় নানাভাবে। কোথাও শীত উদযাপিত হয় পিঠার উষ্ণতায়, কোথাও শীতের উদযাপনের রীতি তুষার-ভাস্কর্যের শীতলতায়। কিন্তু গতানুগতিকতার বাইরে গিয়ে হেমন্তের মৃদু শীতকে বরণ করে নিতে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের সামনের বটতলায় প্রথমবারের মত আয়োজিত হচ্ছে ‘কুহেলিকা আগমন উৎসব’
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘অভয়ারণ্য’র উদ্যোগে জমকালো আয়োজনে দুই দিন ব্যাপী এই উৎসব শুরু হয়।
মধুসখা, দ্য ফ্লাওয়ার বি, মুখরোচক, পিঠাপুলি, নকশীকাঁথা, ফটোগ্রাফি প্রদর্শন, পুতুলের নাচ, চিঠিবক্স, আতিথিয়েতার সমাহার, বই তরণী, আইন আবৃত্তি সহ বিভিন্ন ধরণের প্রায় ১৬টি স্টলে জৌলুস এই ‘কুহেলিকা আগমন উৎসব’। যেখানে আমাদের বাঙালির শত বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতির বিচিত্র একরূপে ফুটে উঠে।
উৎসব প্রাঙ্গণে ঘুরে দেখা গেলো প্রায় সকল বিভাগের শিক্ষক শিক্ষার্থীদের প্রাণবন্ত উপস্থিতি। মেলায় সবাই আসছেন নিজেদের ক্যাম্পাসের উদ্যোক্তাদের থেকে পছন্দসই পোশাক কিনতে, খাবার খেতে, একসাথে ভালো কিছু সময় কাটাতে। এমন উৎসবের আয়োজন শুধুই পণ্যের বেচাকেনা নয়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও বন্ধুদের মাঝে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কও গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
কুহেলিকা উৎসবে ঘুরতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও তথ্য পদ্ধতি বিভাগের শিক্ষার্থী হাসিব আহমেদ বলেন, ‘কুহেলিকা উৎসব’ এর মত আয়োজন আমাদের ক্যাম্পাসে ইতোঃপূর্বে দেখিনি। গতানুগতিক সংস্কৃতি চর্চায় পিছিয়ে থাকা ইবিতে এই ধরনের ব্যতিক্রমী আয়োজনের জন্য অভয়ারণ্যকে ধন্যবাদ।
এই ব্যাপারে অভয়ারণ্যের সাধারণ সম্পাদক হাসিন ইন্তেসাফ অর্প বলেন, আমরা চেষ্টা করেছি আমাদের হারিয়ে যাওয়া লোকসংস্কৃতি ফুটিয়ে তুলতে। আমাদের গ্রামীণ লোকসমাজের হারিয়ে যাওয়া লোকউপাদান ডাকবাক্স ও ঠেলাগাড়ির কথা সবাইকে মনে করে দিতে আমরা এই দুটির প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করেছি।
তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ক্যাম্পাসের অনেক উদ্যোক্তা শিক্ষার্থী আছেন, তাদের কথা ভেবে আমরা মেলার আয়োজন করেছি, যাতে তারা নিজেদের পণ্য বিক্রির মাধ্যমে তাদের নিজস্বতা ফুটিয়ে তুলতে পারেন।’
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর ইসলামী (কুষ্টিয়া) বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি নাজিম হোসেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.