ইতিহাসের দুয়ারে দাঁড়িয়ে লিগ চ্যাম্পিয়নরা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: এবার প্রথম প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন বসুন্ধরা কিংস এএফসি কাপ ফুটবলে খেলছে। তাদের সামনে ইতিহাস হাতছানি দিচ্ছে। আজ ভারতের এটিকে মোহনবাগানকে হারিয়ে বসুন্ধরা কিংস যদি পরবর্তী রাউন্ডে উঠতে পারে সেটি হবে তাদের জন্য ইতিহাস। ইতিহাসের দুয়ারে দাঁড়ানো বসুন্ধরা কিংস আজ চূড়ায় উঠবে, নাকি ব্যর্থতা নিয়ে ফিরে আসবে। মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে বসুন্ধরা-মোহনবাগানের মঞ্চায়ন শুরু হবে বিকাল ৫টায়।
মোহনবাগান এবং বসুন্ধরা কিংস। পাশাপাশি দুই দেশ। ভাষা এবং সংস্কৃতি এক। এক জন আরেক জনের ভাষা বোঝেন। ক্লাব ফুটবল ছাড়াও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলেও এদের সঙ্গে দেখা হয়। মাঠের লড়াইয়ে বাংলা ভাষাভাষীরা এক হলেও মাঠের বাইরে ডাগআউটে আছে ভিন্ন ভাষার কোচ।
মোহনবাগানের স্প্যানিশ কোচ অ্যান্থনি লোপেজে হাবাস এবং বসুন্ধরা কিংসের স্প্যানিশ কোচ অস্কার ব্রুজন। এই দুজন একই ক্লাবে কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। স্পেনের সেভিয়া এবং সেলটা ভিগো ক্লাবে কাজ করেছেন দুজন। অভিজ্ঞতায় অনেক দূর এগিয়ে মোহনবাগান কোচ। তার প্রোফাইলে নজর দিলে চোখ ছানাবড়া হয়ে যায়। অস্কার ব্রুজনের এতটা নেই। তারপরও আজ মাঠের বাইরে এই দুই কোচের লড়াটাইও সবার নজরে থাকবে। কে কীভাবে রণকৌশলে তার দলকে খেলিয়ে উতরে যাবেন সেই ভেল্কি দেখার অপেক্ষা।
এএফসি কাপের ডি গ্রুপে মোহনবাগান দুই ম্যাচ জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে। আর বসুন্ধরা কিংস এক জয়ের সঙ্গে এক ড্র মিলিয়ে ৪ পয়েন্ট। পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের দল। সহজ সীমকরণ হচ্ছে—মোহনবাগান ড্র করলেই গ্রুপ চ্যম্পিয়ন হয়ে পরবর্তী রাউন্ডে উঠবে। আর গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হতে হলে বসুন্ধরাকে জিততেই হবে। গ্রুপ থেকে একটি দলই নকআউট রাউন্ডে যাবে।
মোহনবাগান কাজটা সহজ করে রেখেছে। বলা যায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য মালদ্বীপের মাজিয়াকে (২-০) হারিয়ে মোহনবাগান ৫০ ভাগ কাজ এগিয়ে রেখেছে। ম্যাচ গোলশূন্য ড্র হলেও কোনো সমস্যা নেই। আর বসুন্ধরাকে গোল করে ম্যাচের ৩ পয়েন্ট তুলে নিতে হবে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়নদের চোখে আজ ফাইনাল। মালদ্বীপ থেকে দলনেতা বায়েজিদ জোবায়ের নিপু বললেন, ‘আমাদের জন্য এটি ফাইনাল। জিততে হবে। মোহনবাগান ড্র করলে চলবে।’
বসুন্ধরা কিংস দেশের শীর্ষ ফুটবলে উঠে লিগ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, দুটি লিগেও চ্যাম্পিয়ন। এবার বিদায় নিলেও আগামী এএফসি কাপে খেলার নিশ্চয়তা হাতে পেয়েছে। তবে বসুন্ধরার ক্যারিয়ারে আজকের মতো এমন কঠিন ম্যাচের মুখোমুখি হয়নি কখনো। দুই দেশের লড়াই এটি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.