ইউরোর গোল্ডেন বল উঠলো ইতালি গোলরক্ষকের হাতে

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে টাইব্রেকারে ইতালির জয়ের নায়ক গোলরক্ষক জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। দুটি শট ঠেকিয়ে দিয়ে ইতালিকে ৫৩ বছর পর ইউরো শিরোপা পুনরুদ্ধারে এগিয়ে দেন তিনি। আর আসরে সব মিলিয়ে মাত্র চারবার ডোনারুমাকে পরাস্ত করতে পেরেছিলেন প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা। যে কারণে সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কারটা উঠলো ডোনারুমার হাতেই।
শুধু গোল্ডেন গ্লাভসই নয়, টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কার গোল্ডেন বলও উঠলো ডোনারুমার হাতে। সবাইকে বাদ দিয়ে কেন ডোনারুমাকেই সেরার পুরস্কার তথা গোল্ডেন বলের জন্য বেছে নেয়া হলো? সে ব্যাখ্যা দিয়েছে ইউরোর টেকনিক্যাল কমিটি।
কমিটি জানিয়েছে, ‘পুরো আসরে তিন ম্যাচে ছিলেন ক্লিনশিট। ৯টি করেছেন দুর্দান্ত সেভ। সেমিফাইনালেও ছিলেন পেনাল্টি শ্যুট-আউটের হিরো। একইভাবে ফাইনালেও হলেন পেনাল্টি শ্যুট-আউটের হিরো। সুতরাং, সেরার পুরস্কারটা তো তার হাতেই মানায়।’
পুরো টুর্নামেন্টেই ইতালিকে মাত্র চারটি গোল হজম করালেন তিনি। গ্রুপ পর্বে ছিলেন ক্লিনশিট। এরপর দ্বিতীয় রাউন্ড থেকে প্রতি রাউন্ডেই ১টি করে গোল হজম করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে মাত্র চারবার ডোনারুমাকে পরাস্ত করতে পেরেছিল প্রতিপক্ষের ফুটবলাররা।
ফাইনালে নির্ধারিত সময়ে ১-১ সমতার পর অতিরিক্ত সময়েও হলো না গোল। ফলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। টাইব্রেকারে ২-৩ গোলে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে শিরোপা পুনরুদ্ধার করেছে রবার্তো মানচিনির ইতালি। চ্যাম্পিয়ন হয়ে টানা ৩৪ ম্যাচে অপরাজিত থাকার রেকর্ড গড়ে ইতালি।
তবে, লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচের শেষ মুহূর্তের নায়ক এই জিয়ানলুইজি ডোনারুমা। দুটি শট ঠেকিয়ে দিতে না পারলে হয়তো ফলাফল ভিন্ন হতে পারতো। ইংলিশ সানচো আর বুকাইয়ো সাকার শট ঠেকিয়ে দেন তিনি। আর ইতালির গোলরক্ষকের অ্যাপ্রোচ দেখে মার্কাস রাশফোর্ড বল মেরে দেন সাইডবারে। তাতেই ইতালির জয়ের নায়কে পরিণত হয় ডোনারুমা।
এদিকে, স্পেনের পেদ্রিকে বেছে নেয়া হলো এবারের টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সেরা প্রতিভা খেলোয়াড় হিসেবে। আর গোল্ডেন বুট জিতেন পর্তুগালের ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.