ইউক্রেন যুদ্ধ: আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির আহ্বান চীনের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্করুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেন যুদ্ধে নতুন করে সেনা পাঠানোর ঘোষণায় বেড়েছে উত্তেজনা। ‘মাতৃভূমি রক্ষায়’ আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণার পর মস্কোকে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছে চীন।
বুধবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, সংলাপ এবং পরামর্শের মাধ্যমে একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো যেতে পারে। যত দ্রুত সম্ভব নিরাপত্তা উদ্বেগ নিরসনে একটি সমাধান খুঁজে বের করতে সবপক্ষকে আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি সব দেশের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত। জাতিসংঘের সনদের নীতিগুলো বাস্তবায়ন করা জরুরি।’
চীনের এমন আহ্বানের আগে বুধবার পুতিন জাতির উদ্দেশে টেলিভিশনে ভাষণে ‘আংশিক সেনা সমাবেশ’ করার ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবার রাশিয়া এ ধরনের সেনা সমাবেশ করতে যাচ্ছে। আংশিক সেনা সমাবেশে তিন লাখ রিজার্ভ সেনাকে ডাকা হবে বলে বলেন রুশ প্রেসিডেন্ট।
গত কয়েক বছরের মধ্যে চীন-রাশিয়ার সম্পর্ক বেশ মজবুত অবস্থানে। গত সপ্তাহেই উজবেকিস্তানের সাংহাই সম্মেলনে পার্শ্ববৈঠকে মিলিত হন শি জিনপিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয় তাদের।
সম্প্রতি ইউক্রেনে রুশ বাহিনী যখন বিপর্যয়ের মুখে পড়ছে তখনই সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিলেন পুতিন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে পশ্চিমা দেশগুলো। যুক্তরাজ্যের ফরেন অফিস মিনিস্টার গিলিয়ান কেগান বলেন, ভ্লাদিমির পুতিনের হুমকি অবশ্যই গুরুত্ব সহকারে নেওয়া উচিত। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.