বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: পশ্চিম ইউক্রেনের টেরনোপিল শহরের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৮ নভেম্বর) ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত রাতভর চালানো হামলায় আরও অন্তত ৬৬ জন আহত হয়েছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, জ্বালানি ও পরিবহন অবকাঠামো লক্ষ্য করে এসব হামলা চালানো হয়। এর ফলে হিমশীতল তাপমাত্রায় বেশ কয়েকটি অঞ্চলে জরুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়। হামলায় টেরনোপিলের আবাসিক ভবনের ওপরের তলাগুলো ধসে পড়ে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত রতের হামলায় রাশিয়া ৪৭০টিরও বেশি ড্রোন এবং ৪৮টি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে।
এ অবস্থায় পশ্চিম ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বে রেজেসো এবং লুবলিন বিমানবন্দর সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। আকাশসীমা সুরক্ষিত রাখার জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে পোলিশ এবং ন্যাটো বিমান মোতায়েন করা হয়েছে।
রাশিয়ার ওপর আরও চাপ প্রয়োগের আহ্বান জেলেনস্কির
রাশিয়ার সঙ্গে শান্তি আলোচনা পুনরুজ্জীবিত করার প্রচেষ্টায় তুরস্কে আলোচনা করার কথা ছিল ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কির। তিনি বলেছেন, টেরনোপিলে বহুতল আবাসিক ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং আরও অনেকে ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়তে পারেন।
তিনি মিত্রদের ইউক্রেনে প্রায় চার বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটাতে রাশিয়ার ওপর চাপ বৃদ্ধির আহ্বান জানান। এক্স-পোস্টে জেলেনস্কি বলেন, ‘সাধারণ জীবনের বিরুদ্ধে প্রতিটি নির্লজ্জ আক্রমণই দেখায় যে, রাশিয়ার ওপর চাপ অপর্যাপ্ত। কার্যকর নিষেধাজ্ঞা এবং ইউক্রেনের প্রতি সহায়তা এই পরিস্থিতি পরিবর্তন করতে পারে।’
ইউক্রেনীয় জ্বালানি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত রাতে সাতটি অঞ্চলে জ্বালানি অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির সম্পূর্ণ পরিমাণ তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়। সারা দেশে গ্রাহকদের বিদ্যুৎ ব্যবহারের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। #

















