বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের যুদ্ধ বন্ধে দেয়া মার্কিন প্রস্তাবগুলোকে ‘বর্তমান আকারে’ (যেভাবে দেয়া হয়েছে সেভাবে) রাশিয়া গ্রহণ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে মস্কো। কারণ যে সমস্যাগুলোকে রাশিয়া সংঘাতের কারণ বলে মনে করে সেগুলো সমাধান করা হয়নি। একজন জ্যেষ্ঠ রুশ কূটনীতিক এমনটা জানান।
ভ্লাদিমির পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি উপদেষ্টা সের্গেই রিয়াবকভ বলেন, যুদ্ধ শেষ করার জন্য মার্কিন প্রস্তাবগুলোতে রাশিয়ার কিছু মূল দাবির প্রতি মনোযোগ দেয়া হয়নি। এই বিষয়ে মার্কিন-রাশিয়া আলোচনা স্থগিত হয়ে গেছে বলেও দাবি করেন রিয়াবকভ।
রিয়াবকভের মন্তব্য থেকে বোঝা যায় যে মস্কো এবং ওয়াশিংটন এখনও পর্যন্ত সেই পার্থক্য দূর করতে ব্যর্থ হয়েছে। যে বিষয়গুলো প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় আগে উত্থাপন করেছিলেন।
যখন তিনি বলেছিলেন যে মার্কিন প্রস্তাবগুলো পুনর্বিবেচনা করা প্রয়োজন।
ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ বন্ধে দ্রুত একটি শান্তি চুক্তি করতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টার মধ্যে এই কথা জানাল মস্কো।
এর আগে চুক্তি নিয়ে গড়িমসি করার জন্য এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে নিয়ে মন্তব্য করার জেরে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি পুতিনের ওপর ‘অত্যন্ত ক্ষুব্ধ।’ এছাড়া রাশিয়ার তেল কিনবে এমন দেশগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথাও বলেন ট্রাম্প।
এদিকে, মার্কিন-রাশিয়া সম্পর্কের বিশেষজ্ঞ রিয়াবকভ বলেন, মস্কো এখনও কোনো চুক্তিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হয়নি।
রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম রিয়াবকভকে উদ্ধৃত করে বলেছে, আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত মডেল এবং সমাধানগুলোকে খুব গুরুত্ব সহকারে দেখি। কিন্তু আমরা ‘বর্তমান আকারে’ দেয়া প্রস্তাবকে মেনে নিতে পারি না।
তিনি বলেন, ‘যতদূর আমরা দেখতে পাচ্ছি আজ আমাদের মূল দাবির, অর্থাৎ এই সংঘাতের মূল কারণগুলোর সাথে সম্পর্কিত সমস্যাগুলো সমাধানের কোনো উগ্যোগ নেই। এটি সম্পূর্ণরূপে অনুপস্থিত। এটি অবশ্যই কাটিয়ে উঠতে হবে।’
এর আগে পুতিন জানান, তিনি চান ইউক্রেন ন্যাটোতে যোগদানের উচ্চাকাঙ্ক্ষা ত্যাগ করবে, রাশিয়া চারটি ইউক্রেনীয় অঞ্চলের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ পাবে, যেগুলোকে তারা নিজেদের বলে দাবি করেছে এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর আকার সীমিত করা হবে। অন্যদিকে কিয়েভ বলেছে যে এই দাবিগুলো মেনে নেয়া মানে আত্মসমর্পণ করা। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.