ইউক্রেনের ৭৭ সেনার মরদেহ ফেরত দিলো রাশিয়া, পশ্চিমারা এখন ক্লান্ত, তারা ভীতি ছড়াচ্ছে : মস্কো

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার সামরিক বিমান বিধ্বস্তে নিহত ইউক্রেনের ৭৭ সেনার মরদেহ ফেরত দিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েকদিন পর শুক্রবার তাদের মরদেহগুলো ফেরত দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মস্কোর এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেছেন,পশ্চিমারা এখন ইউক্রেন নিয়ে ক্লান্ত। তারা এখন এ নিয়ে ভীতি ছড়াচ্ছে।
রাশিয়ার ওই সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার এখনও কোনও সুরাহা হয়নি। তবে একে অপরকে এখনও দোষারোপ করছে ইউক্রেন ও রাশিয়া। বিমান বিধ্বস্তের বিষয়ে নতুন অভিযোগ তুলছে উভয় পক্ষই। রাশিয়া বলেছে, ইউক্রেন বাহিনীই বেলগোরোডের সীমান্ত অঞ্চলে গুলি করে বিমনটিকে ভূপাতিত করেছে। এর ফলে ৬৫ ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি নিহত হয়েছেন। তবে কিয়েভ রাশিয়ার এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার না করলেও কর্মকর্তারা বন্দিশালা বোর্ডে ছিলেন কি-না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সামরিক বিমানের ব্ল্যাক বক্সগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য মস্কোর একটি বিশেষ পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছে। এদিকে, রুশ সামরিক বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার সত্যতা পরিষ্কারভাবে সামনে আনার আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তার অভিযোগ, রাশিয়া ‘ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিদের জীবন নিয়ে খেলছে।’
এদিকে রাশিয়ার ফরেন ইন্টেলিজেন্স সার্ভিস বা এসভিআর-এর প্রধান সের্গেই নারিশকিন বলেছেন, ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর জনগণের মোহভঙ্গ ঘটেছে; তারা এখন এ নিয়ে ক্লান্ত। নারিশকিন বলেন, পশ্চিমা সরকারগুলো এখন ন্যাটোর ওপর “রাশিয়ান আক্রমণের” ভয়ঙ্কর হুমকিকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে তুলে ধরে জনসমর্থন জোগাড় করার চেষ্টা করছে। রুশ বার্তা সংস্থা স্পুটনিককে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, জনমত জরিপে দেখা গেছে- এই সব দেশের জনগণ ইউক্রেন সংকট নিয়ে নিতান্তই ক্লান্ত হয়ে পড়েছে। এখন খুব কম সংখ্যক লোকই মনে করে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেন বিজয়ী হতে পারবে।
এসভিআর প্রধানের মতে- “যারা ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির গ্যাং-কে সরলভাবে বিশাল আর্থিক সহায়তা চালিয়ে যেতে চান তাদের সংখ্যা এখন কম,  এবং কেউ এটা বুঝতে পারে না- কেন পশ্চিমা দেশগুলোর লোকজনকে ইউক্রেন ইস্যুতে কষ্ট পেতে হবে।” তিনি বলেন, রাশিয়ার জ্বালানি আমদানিতে পশ্চিমা জোটের নিষেধাজ্ঞার কারণে গত দুই বছরে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর শিল্প-কারখানা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সামপ্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ব্রিটেনের লাখ লাখ বাসিন্দা বিদ্যুতের বাড়তি বিলের সাথে নিজেদেরকে মানিয়ে নেয়ার জন্য লড়াই করছে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.