ইউক্রেনের বিরুদ্ধে একজোট রুশ-বেলারুশ সৈন্য

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেইন সীমান্তে রুশ বাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে বেলারুশের সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এখবর জানিয়েছে।
ইউক্রেইন ও এর পশ্চিমা সমর্থকদের কাছ থেকে হামলার স্পষ্ট হুমকি আছে উল্লেখ করে প্রয়োজনে এর জবাব দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো।
১৯৯৪ সাল থেকে বেলারুশের ক্ষমতায় আছেন অ্যালেক্সান্ডার লুকাশোঙ্কো। তার এমন বক্তব্য থেকে ইউক্রেইন যুদ্ধ আরও মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। ইউক্রেইনের উত্তরে রাশিয়া-বেলারুশ যৌথ বাহিনী মোতায়েন পরিস্থিতিকে আরও সঙ্গীন করে তুলতে পারে।
নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে এক বৈঠকে বেলারুশের প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো বলেছেন, “বেলারুশের ভূখণ্ডে হামলা আজ কেবল ইউক্রেইনে আলোচনাই করা হচ্ছে না বরং এর পরিকল্পনাও করা হচ্ছে। তাদের মালিকরা বেলারুশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করার জন্য চাপ দিচ্ছে, যাতে আমাদেরকে সেখানে টেনে নেওয়া যায়।”
তবে বৈঠকে লুকাশেঙ্কো এমন কথা বললেও এই দাবির স্বপক্ষে কোনও প্রমাণ দিতে পারেননি।
তিনি বলেন, “আমরা কয়েকদশক থেকেই এর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। প্রয়োজন হলে আমরা জবাব দেব।” সেন্ট পিটার্সবার্গে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে এক বৈঠকে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথাও হয়েছে বলে জানিয়েছেন লুকাশেঙ্কো।
তিনি জানান, আঞ্চলিক একটি সামরিক দল মোতায়েন করা নিয়ে পুতিনের সঙ্গে তার মতৈক্য হয়েছে এবং দু’দিন আগে একসঙ্গে সেনা একত্রিত করার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। শনিবার ক্রাইমিয়ায় রাশিয়ার সড়ক ও রেল সেতুতে হামলার ঘটনার পর দৃশ্যত এই তোড়জোড় শুরু হয়।
বেলারুশের সেনাবাহিনীতে আছে প্রায় ৬০ হাজার সদস্য। এ বছরের শুরুতে বেলারুশ কয়েক হাজার সদস্যের ৬ ব্যাটেলিয়ন ট্যাকটিকাল গ্রুপ সীমান্ত এলাকাগুলোতে মোতায়েন করেছে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেইনে আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রাশিয়া বেলারুশকে ঘাঁটি হিসাবে ব্যবহার করে আসছে। বেলারুশের ঘাঁটি থেকে রাশিয়া সেনা এবং সাজ-সরঞ্জাম ইউক্রেইনের উত্তরে পাঠাচ্ছে। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.