ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে খাদ্যশস্যবাহী ছয় জাহাজ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: রাশিয়ার খাদ্যশস্য চুক্তিতে ফেরার পর খাদ্যশস্যবাহী ছয়টি জাহাজ ইউক্রেনের বন্দর ছেড়েছে। চুক্তির বিষয়ে মস্কোর ঘোষণার একদিন পর বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) জাহাজগুলো বন্দর ছাড়ে। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসু আকারের বরাত দিয়ে তুর্কি সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, খাদ্যশস্য চুক্তি নিয়ে রাশিয়ার সম্মতির পরই জাহাজগুলো ইউক্রেনীয় বন্দর ছাড়ে। যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে গুরুত্বপূর্ণ খাদ্যশস্য রফতানিতে অংশগ্রহণ স্থগিতের চার দিনের মাথায় বুধবার (২ নভেম্বর) চুক্তিতে ফেরার ঘোষণা দেয় রাশিয়া।
গত সপ্তাহে অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের বৃহত্তর বন্দরনগরী সেভাস্তোপলের কাছে কৃষ্ণসাগরে রুশ নৌবহরে ইউক্রেনের ড্রোন হামলার অভিযোগে খাদ্যশস্য চুক্তি থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেয় মস্কো। ওই দিন এক বিবৃতি দিয়ে মস্কো ইউক্রেনের বন্দর থেকে কৃষিপণ্য রফতানির চুক্তি বাস্তবায়নে রাশিয়ার অংশগ্রহণ স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানায়।
রাশিয়ার ওই চুক্তি স্থগিতের পর বিশ্বজুড়ে খাদ্যসংকট বৃদ্ধির হুমকি সৃষ্টি হয়, বিষয়টি নিয়ে জাতিসংঘ ও ইউক্রেন উদ্বেগ প্রকাশ করে। তবে মস্কোকে চুক্তিতে ফেরাতে আবারও কূটনৈতিক দৌড়ঝাঁপ শুরু করে তুরস্ক। চুক্তিতে ফিরতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন এরদোগান।
বুধবার (২ নভেম্বর) তুর্কি প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়া চুক্তিতে ফিরতে রাজি হয়েছে। তিনি বলেন, রুশ প্রতিরক্ষমন্ত্রী সের্গেই শোইগু তুর্কি প্রতিরক্ষামন্ত্রী হুলুসি আকারকে ফোন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেছেন, ‘খাদ্যশস্য রফতানি চুক্তি আগের মতোই চলবে।’ এরদোগান বলেন, চুক্তি অনুযায়ী ইউক্রেনের খাদ্য রফতানির ক্ষেত্রে সোমালিয়া, জিবুতি ও সুদানের মতো আফ্রিকার গরিব দেশগুলো অগ্রাধিকার পাবে।

রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রুশ ফেডারেশন মনে করছে এই মুহূর্তে প্রাপ্ত নিশ্চয়তা যথেষ্ট এবং চুক্তির বাস্তবায়ন পুনরায় শুরু করছে। জাহাজ চলাচল শুরু হওয়ার সময় সম্পর্কে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট জানান, রাশিয়ার সম্মতি অনুযায়ী বুধবার দুপুর ১২টার আগেই শস্য পরিবহন শুরু হবে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.