ইউক্রেনের জ্বালানি ও বেসামরিক অবকাঠামোতে রাশিয়ার হামলা

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনা ও বেসামরিক অবকাঠামোতে বুধবার রাতভর রাশিয়া হামলা। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) এই দাবি করেছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা। জাতিসংঘের একটি পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানিয়েছে, মস্কোর বিদ্যুৎ গ্রিডে হামলাগুলো সম্ভবত মানবাধিকার আইন লঙ্ঘন করেছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, রাশিয়ার ছোড়া ৪২টি ড্রোন এবং চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের মধ্যে একটি ভূপাতিত করা হয়েছে। এই হামলা রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসনের প্রায় আড়াই বছরের মধ্যে সর্বশেষ আক্রমণ।
রাতভর ইউক্রেনের নয়টি অঞ্চলে ইউক্রেনীয় আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় ছিল বলে জানিয়েছে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী।
বুধবার সন্ধ্যায় সুমি অঞ্চলের ক্রাসনোপিলিয়ার কাছে গোলাবর্ষণে তিনজন নিহত এবং একজন আহত হন বলে জানিয়েছেন স্থানীয় প্রসিকিউটররা। এই অঞ্চলে রাতভর বিদ্যুৎ বিভ্রাট দেখা দেয়। জ্বালানি অবকাঠামোতে হামলা চালানো হয়েছিল বলে জানায় জাতীয় গ্রিড অপারেটর।
এই সপ্তাহে সুমি অঞ্চলে একাধিক রুশ হামলায় বিদ্যুৎব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার ফলে কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কমে গেছে এবং কর্তৃপক্ষকে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ মিশন রাশিয়ার এই বারবার জ্বালানি গ্রিডে হামলার সমালোচনা করেছে। তারা বলেছে, এসব হামলা পানির সরবরাহ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও দেশের সামগ্রিক অর্থনীতিতে ঝুঁকি তৈরি করছে।
এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, ইউক্রেনের বেসামরিক বিদ্যুৎ ও তাপ উৎপাদন ও সরবরাহ ব্যবস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করার প্রচেষ্টায় একাধিক মানবিক আইন লঙ্ঘনের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
কিয়েভ বলেছে, জ্বালানি ব্যবস্থাকে লক্ষ্য করে হামলা একটি যুদ্ধাপরাধ। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইতোমধ্যে চারজন রুশ সামরিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বেসামরিক বিদ্যুৎ অবকাঠামোতে হামলার জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে।
মস্কো অবশ্য বলেছে, বিদ্যুৎ অবকাঠামো সামরিক লক্ষ্য হিসেবে বৈধ এবং তাদের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো ভিত্তিহীন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.