ইউক্রেনের জন্য আরও সামরিক সহায়তার আহ্বান ন্যাটো মহাসচিবের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুদ্ধরত ইউক্রনকে আরও সামরিক সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টলটেনবার্গ। তিনি ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোকে এ সহায়তা দেয়ার কথা বলেন। জার্মান সংবাদমাধ্যম ডিপিএর সঙ্গে আলাপকালে শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) এ আহ্বান জানান তিনি।
সাংবাদিকদের স্টলটেনবার্গ বলেন, ‘আমি মিত্রদের আরও কিছু করার আহ্বান জানাই। ইউক্রেন যেন জয়লাভ করে এবং পুতিন যাতে জিততে না পারে সেটি নিশ্চিত করার মধ্যে আমাদের সবার নিরাপত্তাজনিত স্বার্থ রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, আমরা জানি বেশিরভাগ যুদ্ধই আলোচনার টেবিলে শেষ হয়। হয়তো এখানেও সেটাই হবে। তবে এই আলোচনায় ইউক্রেন কী অর্জন করতে পারবে, সেটি নির্ভর করছে দেশটির সামরিক সক্ষমতার ওপর।
এদিকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধের ‘প্রধান সুবিধাভোগী’ হলো যুক্তরাষ্ট্র। ‘ইউরোপকে আরও পরাধীন করতে’ তারা অঞ্চলটির সঙ্গে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী সম্পর্ক বিনষ্টের ভূরাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হয়েছে। তিনি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত দীর্ঘায়িত করতে এবং এটিকে আরও সহিংস করে তুলতে তাদের পক্ষে সম্ভব সবকিছু করছে।
ইউক্রেন সংঘাত নিরসনে এক মাসের বেশি সময় ধরে ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়ে আসছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। চলতি বছরের নভেম্বরে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ সম্মেলনে প্রথম ১০ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন তিনি। এরপর গত সপ্তাহে (২২ ডিসেম্বর) জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকে আবারও বিষয়টি তুলে ধরা হয়।
এরপরই যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়া আলোচনায় বসতে প্রস্তুত আছে জানালেও গত নভেম্বরে জি-২০ দেশগুলোর নেতাদের সামনে জেলেনস্কির দেয়া ১০ দফা শান্তি প্রস্তাব মানা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে মস্কো। ওই প্রস্তাবে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহার, অধিকৃত চারটি অঞ্চল ফিরিয়ে দেয়া এবং খাদ্য, জ্বালানি, পারমাণবিক ও যুদ্ধবন্দিদের নিরাপত্তার বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত ছিল। রাশিয়া বলছে, অধিভুক্ত অঞ্চলগুলো এখনকার বাস্তবতা। এটা মেনে নিয়েই আলোচনায় বসতে হবে ইউক্রেনকে।
ইউক্রেনে সামরিক অভিযান শুরুর পর বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) এযাবৎকালের সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ইউক্রেনজুড়ে একসঙ্গে ১২০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে রুশ বাহিনী। স্থল ও সমুদ্র থেকে এই হামলা চালানো হয়। প্রাণ বাঁচাতে বাসিন্দাদের স্থানীয় শেল্টারে আশ্রয় নেয়ার আহ্বান জানিয়েছে জেলেনস্কি প্রশাসন।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী বলছে, এবারের হামলা একেবারেই ভিন্ন। একযোগে স্থল ও সমুদ্র থেকে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া ইরানের তৈরি কামিকাজি ড্রোন দিয়েও মিসাইল হামলার অভিযোগ করেছে কিয়েভ। রুশ অভিযান শুরুর পর এযাবৎকালের সবচেয়ে বড় এ হামলা থেকে রক্ষায় স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। (সূত্র: রয়টার্স)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.