ইউক্রেনকে মাত্র ১০টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেয়ার প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিলেও পরিমাণ খুব সীমিত হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওস।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এক ফোনালাপে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে মাত্র ১০টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ট্রাম্প।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কার্যকলাপ নিয়ে কড়া সমালোচনা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিয়েভ-মস্কো দ্বন্দ্ব ঘিরে ট্রাম্পের অবস্থান স্পষ্ট নয় বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেমলিন মুখপাত্র।
যুক্তরাষ্ট্রের মসনদে ডোনাল্ড ট্রাম্প বসার পর থেকেই ইউক্রেনে মার্কিন সামরিক সহায়তার পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে বলে জানায় বিভিন্ন গণমাধ্যম। গেল সপ্তাহেও পেন্টাগন কিয়েভের জন্য নির্ধারিত একটি অস্ত্রের চালান স্থগিত করে দেয়।
দ্য গার্ডিয়ান জানিয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ইন্টারসেপ্টরের মজুদ কম থাকার কারণে ট্রাম্প প্রশাসন ইউক্রেনে স্থানান্তর স্থগিত করে। তবে গত সোমবার (৭ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, কিয়েভকে প্রতিরক্ষামূলক অস্ত্র পাঠানো অব্যাহত থাকবে।
যদিও মার্কিন গণমাধ্যম অ্যাক্সিওসের তথ্য মতে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সঙ্গে এক ফোনালাপে ট্রাম্প জানান, কিয়েভকে মাত্র ১০টি প্যাট্রিয়ট মিসাইল পাঠাবে ওয়াশিংটন। প্যাট্রিয়ট মিসাইল উৎপাদনে যুক্তরাষ্ট্রের সক্ষমতা বর্তমানে বছরে ৫০০টির মতো।
প্রতি মিসাইলের মূল্য প্রায় ৪০ লাখ ডলার। সাধারণত একটি লক্ষ্যবস্তু ভূপাতিত করতে দুইটি মিসাইল ব্যবহার করতে হয়, এ কারণেই সহায়তাটি সীমিত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ট্রাম্প ইউক্রেনকে অন্য উৎস থেকেও অস্ত্র সহায়তার উপায় খুঁজে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানান, আকাশ প্রতিরক্ষাসহ অত্যাবশ্যক সামরিক সরঞ্জাম দ্রুত সরবরাহ নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
একই সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা তার প্রত্যাশার চেয়ে কঠিন হবে বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সংবাদ সম্মেলনে তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কড়া সমালোচনা করেন। পুতিনের কারণে প্রতি সপ্তাহে সাত হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন বলে দাবি করেন তিনি।
তার কথায়, ‘এতটুকু আমি এখনই বলতে পারি যে আমরা পুতিনকে নিয়ে সন্তুষ্ট না। কারণ তিনি অনেক মানুষ হত্যা করছেন, আর এদের মধ্যে বেশিরভাগই দুই দেশের সেনা সদস্য। এখন প্রতি সপ্তাহে প্রায় সাত হাজার মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। আমি পুতিনের কার্যকলাপে খুশি না।’
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য আসছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো এখনো ইউক্রেনকে সরবরাহ অব্যাহত রেখেছে। এ সময় মস্কোর ওপর দেয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে অবৈধ বলে অভিযোগ করেন তিনি। বলেন, এতে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় দেশের ব্যবসায়ীরাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.