ইউক্রেইনকে বিদায় করে শেষ ষোলোয় বেলজিয়াম

 

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: প্রথমার্ধে দুই দলই খেলল ধীরগতির ফুটবল। বিরতির পর সময় যত গড়াতে থাকল, ধার বাড়ল তাদের খেলায়। ছিটকে পড়ার শঙ্কায় শেষ দিকে গিয়ে একটু মরিয়াও হয়ে উঠল ইউক্রেইন, কিন্তু পারল না গোল আদায় করতে। তাদেরকে ছিটকে দিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের নকআউট পর্বে উঠল বেলজিয়াম।
স্টুটগার্টে বুধবার রাতে ‘ই’ গ্রুপের নাটকীয়তায় ঠাসা লড়াইয়ে বেলজিয়াম-ইউক্রেইন ম্যাচটি গোলশূন্য ড্র হয়েছে।
গ্রুপের অন্য তিন দলের সমান পয়েন্ট পেলেও গোল ব্যবধানে বিদায় নিয়েছে যুদ্ধবিদ্ধস্ত ইউক্রেইন।
একই সময়ে শুরু রোমানিয়া ও স্লোভাকিয়ার মধ্যে গ্রুপের আরেক ম্যাচও ড্র হয়েছে, ১-১ গোলে। এতে চার দলেরই পয়েন্ট দাঁড়ায় সমান ৪।
পয়েন্ট সমান হওয়ায় বিবেচনায় আসে অন্যান্য হিসাব। তাতে রোমানিয়া গ্রুপ সেরা আর বেলজিয়াম গ্রুপ রানার্সআপ হয়ে পরের ধাপে ওঠে। সেরা চার তৃতীয় দলের একটি হয়ে নকআউট পর্বের টিকেট পায় স্লোভাকিয়াও।
কপাল মন্দ ইউক্রেইনের। প্রতিযোগিতাটির ইতিহাসে প্রথম দল হিসেবে ৪ পয়েন্ট পেয়েও গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারল না তারা।
রোমেলু লুকাকুর গত দুই ম্যাচের অভিজ্ঞতা খুব তেতো; তিনবার জালে বল জড়িয়ে একবারও পাননি গোল। স্বাদটা মিষ্টি করার সুযোগ এদিন শুরুতেই পেয়ে যান অভিজ্ঞ বেলজিয়ান স্ট্রাইকার; কিন্তু কেভিন ডে ব্রুইনের দারুণ থ্রু বল ছয় গজ বক্সে পেয়ে গোলরক্ষক বরাবর খুবই দুর্বল শট নেন তিনি।
বেশিরভাগ সময় বল দখলে রেখে আক্রমণের চেষ্টা করতে থাকে বেলজিয়াম। প্রথম আধা ঘন্টায় যদিও উল্লেখযোগ্য আর কিছুই করতে পারেনি তারা। ৩৩তম মিনিটে অনেক দূর থেকে ফ্রি কিকে ভীতি ছড়ান ডে ব্রুইনে। তবে পোস্ট ঘেঁষে বল পাশের জালে লাগলে বেঁচে যায় ইউক্রেইনে।
পাল্টা আক্রমণে সমানতালে চেষ্টা করে গেলেও, বিরতির আগে পরিষ্কার গোলের সুযোগ একটিও তৈরি করতে পারেনি ইউক্রেইন।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে আরেকটি হাফ-চান্স পায় বেলজিয়াম। বাঁ দিক থেকে গোলমুখে বল বাড়ান জেরেমি ডোকু, কিন্তু প্রয়োজনীয় টোকাটা দিতে যথেষ্ট ক্ষীপ্র হতে পারেননি লুকাকু।
এরপর অবশ্য ‘থ্রি লায়ন্সদের’ আক্রমণে বেশ গতি বাড়ে। ৭৩তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের পরীক্ষা নেন ইয়ানিক কারাসকো, ঝাঁপিয়ে সেটা ঠেকিয়ে জাল অক্ষত রাখেন আনাতোলি ত্রুবিন। কিছুক্ষণ পর পাল্টা আক্রমণে ভিত ছড়ায় ইউক্রেইন, তবে পাশের জালে মেরে হতাশ করেন আর্তেম।
একই সময়ে শুরু রোমানিয়া-স্লোভাকিয়া ম্যাচ ১-১ সমতায় থাকায়, পয়েন্ট টেবিলের এই অবস্থায় ইউক্রেইনের ছিটকে পড়া নিশ্চিত। তাই সময় শেষের দিকে গড়ানোর সঙ্গে মরিয়া হয়ে উঠতে দেখা যায় দলটিকে।
৮৩তম মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিল তারা। কর্নার থেকে সরাসরি চেষ্টা করেন রুসলান মালিনভস্কি, বল এক ড্রপে জালে জড়াতে যাচ্ছিল, একটু সতর্ক হয়ে পড়া বেলজিয়ান গোলরক্ষক কাস্তেলস শেষ মুহূর্তে গোললাইন থেকে কোনোমতে আটকান।
চার মিনিট যোগ করা সময়ে প্রথম মিনিটেই আরেকটি দারুণ সুযোগ তৈরি করে তারা। বল পায়ে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন সুদাকভ, ঠাণ্ডা মাথায় শট নেওয়ার যথেষ্ট সময়ও পান তিন; কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর দুর্বল শট নিয়ে একরাশ হতাশাই উপহার দেন দলকে।
পরের ধাপে যাওয়ার খুব কাছে থেকেও বিদায় নিতে হলো গত আসরে কোয়ার্টার-ফাইনাল খেলা ইউক্রেইনকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.