ইউএস ওপেনে সেরেনাকে বিদায় করে ফাইনালে আজারেঙ্কা

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: আরেকটি ব্যর্থ অভিযান! মেয়েদের এককের গ্র্যান্ড স্লামের ২৪তম শিরোপার রেকর্ডে ভাগ বসানোর অপেক্ষা আরও বাড়লো সেরেনা উইলিয়ামসের।

ইউএস ওপেনে সুবর্ণ সুযোগ থাকলেও আমেরিকান তারকাকে থামতে হলো সেমিফাইনালে। তাকে বিদায় করে ফাইনালে উঠে গেছেন ভিক্তোরিয়া আজারেঙ্কা।

শিরোপা জেতার মঞ্চে তার প্রতিদ্বন্দ্বী নাওমি ওসাকা, যিনি হারিয়েছেন আরেক আমেরিকান জেনিফার বার্ডিকে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতের সেমিফাইনালে প্রথম সেট জিতেও বিদায় নিয়েছেন সেরেনা। ১-৬, ৬-৩, ৬-৩ গেমে হেরেছেন আজারেঙ্কার কাছে। তৃতীয় সেটের শুরুতে আমেরিকান তারকাকে চিকিৎসকের সাহায্য নিতে হয়েছিল। তখনই আঁচ করা গিয়েছিল, গ্র্যান্ড স্লামের রেকর্ড গড়ার পথটা হয়তো সেমিফাইনালে থেমে যাচ্ছে তার। হলোও সেটা। দু্র্দান্ত প্রত্যার্বতনে ফাইনালে পৌঁছে গেছেন আজারেঙ্কা।

দুইবারের অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ী বেলারুশিয়ান তারকা ২০১৩ সালের পর খেলেছেন কোনও গ্র্যান্ড স্লামের সেমিফাইনাল। যদিও ইউএস ওপেনে নামার আগে নিজেকে ভালোভাবেই প্রমাণ করে রেখেছিলেন তিনি। ফাইনালে ওঠার পথে টানা ১১ ম্যাচ জেতার সুখস্মৃতি সঙ্গী, যার মধ্যে আছে ওয়েস্টার্ন ও সাউদার্ন ওপেন জয়ও।

একটা সময় বড় মঞ্চে সেরেনা-আজারেঙ্কার দ্বৈরথ ছিল নিয়মিত দৃশ্য। তবে দুজই মাতৃত্বকালীন বিরতিতে যাওয়ায় ২০১৫ সালের উইম্বলডন কোয়ার্টার ফাইনালের পর এবারের সেমিফাইনাল দিয়েই মুখোমুখি হয়েছিলেন প্রথমবার।

এতদিন দু্জনের ২২বারের সাক্ষাতে সেরেনার জয় ছিল ১৮টিতে, যার মধ্যে রয়েছে ২০১২ ও ২০১৩ সালের ইউএস ওপেন ফাইনাল। বেলারুশের সাবেক নাম্বার ওয়ানের বিপক্ষে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড নিয়ে এবার কোর্টে নেমেছিলেন সেরেনা। তবে অতীতের দায় মিটিয়ে আমেরিকান তারকাকে বিদায় করে ফাইনালে নাম লিখিয়েছেন আজারেঙ্কা।

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে অবেশেষে আবারও গ্র্যান্ড স্লাম ফাইনালে আজারেঙ্কা। সেমিফাইনাল জয়ের পর ৩১ বছর বয়সী তারকা বলেছেন, ‘কঠিন পথ পেরিয়ে আসতে আমার শক্তি দরকার ছিল। তবে কাজটা মোটেও সহজ ছিল না। আশা করছি, আমার এই পথচলা অনেক মেয়ের স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।’

ফাইনালে তার জন্য অপেক্ষা করছে শক্তিশালী প্রতিদ্বন্দ্বী, গত দুই বছরে মেয়েদের টেনিসে আলাদা জায়গা করে নেওয়া ওসাকা।

২০১৮ সালে ইউএস ওপেনের শিরোপা জয়ী ফাইনালে ওঠার পথে ৭-৬ (৭-১), ৩-৬, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন বার্ডিকে। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.