ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়দের মেডেল প্রাপ্য, সমালোচনা নয়

বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: সবশেষ অ্যাশেজ সিরিজে রীতিমতো ভরাডুবি হয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ডের। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টেস্টে কোনোমতে পরাজয় এড়িয়েছে জো রুটের দল। এছাড়া বাকি চার ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে নাকানিচুবানি খেয়েছে ইংলিশরা। কোনো ম্যাচেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা এড়াতে পারেনি তারা।
এমন পারফরম্যান্সের পর স্বাভাবিকভাবেই সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। সাবেক ক্রিকেটার থেকে শুরু করে ক্রিকেট বিশ্লেষকরা রীতিমতো শূলে চড়িয়েছেন বেন স্টোকস, জো রুটদের। তবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান সহকারী কোচ পল কলিংউড।
হেড কোচ ক্রিস সিলভারউডের অনুপস্থিতিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের টি-টোয়েন্টি সিরিজে কলিংউডই দায়িত্ব পালন করছেন প্রধান কোচ হিসেবে। বার্বাডোজে উপস্থিত সাংবাদিকদের সঙ্গে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজে ভরাডুবি নিয়ে কথা বলেছেন কলিংউড। এর চুম্বকাংশ নিচে তুলে ধরা হলো:
‘আমার মনে হয় না মানুষ এসব জৈব সুরক্ষা বলয়ের কঠিন প্রভাব আদৌ বুঝতে পারে। দুবাইয়ের কঠোর বলয় থেকে অ্যাশেজ খেলতে যাওয়া… আমার মতে এটি সত্যিই নতুন একটি ধাপ ছিল। আপনি নিজে এর অভিজ্ঞতা না পেলে কখনও এটি ব্যাখ্যা করতে পারবেন না।’
‘খুব সাধারণভাবে যদি বলি, আপনাকে যতক্ষণ পর্যন্ত অনুমতি না দেওয়া হবে, আপনি ঘরের সামনের দরজা দিয়ে বেরও হতে পারবেন না। এমনকি কফি নিতে যাওয়ার মতো সাধারণ কাজও করতে পারবে না। অনেকে হয়তো বলবে, এটা খুব মজার, তোমরা ভালো হোটেলে থাকছো। কিন্তু আসলে বিষয়টি খুবই কঠিন।’
‘ক্রিস ওকসের কথাই ধরুন। খুবই সাধারণ এবং সবার পছন্দের একজন ছেলে। আমি তাকেও মানসিক সমস্যায় ভুগতে দেখেছি। আমরা বেন স্টোকসকে দেখেছি, যাকে কি না বিশ্ব ক্রিকেটে মানসিকভাবে সবচেয়ে শক্ত খেলোয়াড় হিসেবে ধরা হয়, সেও কাবু হয়েছে।’
‘হ্যাঁ অবশ্যই আমরা ভুল করেছি। আমরা দল নির্বাচনে ভুল করেছি, টসের ক্ষেত্রে ভুল করেছি। কিন্তু বিষয়টি হলো, আমরা উঠে দাঁড়িয়েছি এবং পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজ খেলতে রাজি হয়েছি। ছেলেদের এজন্য মেডেল দেওয়া উচিত। আমরা যদি এ বছর দুইটি এবং পরের বছর তিনটি ম্যাচ খেলতাম তা হলেই হয়তো ভালো হতো।’
‘কিন্তু না! অস্ট্রেলিয়া এ বিষয়ে মোটেও চিন্তিত ছিল না যে তারা মানসিকভাবে বিপর্যস্ত একটি দলকে স্বাগত জানাচ্ছে। তারা শুধু যেকোনো অর্থে অ্যাশেজ সিরিজটা চেয়েছিল। ইংল্যান্ডের এই ছেলেরা মেডেল প্রাপ্য, সমালোচনা নয়। শুধুমাত্র অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়ার কারণেই তাদের বাহবা দেওয়া উচিত।’
‘পুরো বিষয়টা এমন ছিল যেনো ইংল্যান্ডের ফুটবল দলকে বলা হচ্ছে, বিশ্বকাপ শেষ করে জৈব সুরক্ষা বলয়ের মধ্যেই আবার ইউরো কাপ খেলতে যেতে বলা। এমন অবস্থায় আপনি কেমন পারফরম্যান্স আশা করেন? এটি হাস্যকর।’ #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.