নিজস্ব প্রতিবেদক:রাজশাহীতে বিএনপি’র অবস্থা অত্যন্ত লাজুক। প্রকৃত বিএনপিদের অবহেলা করে দূরে রেখে ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের দোসরদের নিয়ে রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন থানা ও ওয়ার্ড কমিটি করা হয়েছে।
সোমবার বেলা ১১টায় বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, রাজশাহীর আয়োজনে রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার জিরো পয়েন্টে আওয়ামী দোসরদের বাদ দিয়ে পরীক্ষিত, ত্যাগী নেতা কর্মীদের দিয়ে নতুন করে রাজশাহী মহানগর, থানা এবং ওয়ার্ড কমিটি গঠনের দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে বিএনপি নেতৃবৃন্দ এই অভিযোগ করেন।
মানববন্ধনে উপস্থিত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রামে কোন কাজ করেননি। তারা আওয়ামী লীগের সাথে যোগসাজস করে চলাফেরা করেছে। সেইসাথে কামিয়েছে কোটি কোটি টাকা। অথচ ত্যাগি নেতারা সকল প্রকার বাধা অতিক্রম করে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল ও বিএনপি জাতয়ি নির্বাহী কমিটির ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শফিকুল হক মিলন এর নির্দেশ ও পরামর্শক্রমে তারা জীবন বাজি রেখে মাঠে ছিলেন।
তারা আরো বলেন, আন্দোলনের সময়ে তারা মার খেয়েছেন, জেল হাজতে গেছেন। অর্থ খুইয়েছেন। সেইসাথে তারা দিনের পর দিন, রাতের পর রাত তারা বাড়ি ছাড়া ছিলেন। শত শত রাত তারা নির্ঘুম কাঠিয়েছেন বলে দাবী করেন। তারা আরো বলেন, কিছুদিন আগে যুবদল রাজশাহী মহানগরীর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলুর বাড়িতে হামলা, ভাঙ্গচুর ও গান পাউডার দিয়ে বাড়ি আগুন ধরিযে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এটা নিয়ে মামলা হলেও আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কোন অদৃশ্যবলে তাদের পুলিশ আটক করছেনা। এনিয়ে জনমনে প্রশান জেগেছে বলে উল্লেখ করে দ্রুত ঐ সকল আসামীদের আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী জানান তারা। সেইসাথে মহানগরীর সকল কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে ত্যাগী ও প্রকৃত বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগি সংগঠনের নেতা-কর্র্মীদের সমন্বয়ে নয়া কমিটি গঠন করার দাবী জানান। দাবী না মানলে আগামীতে আরো কঠোর কর্মসূচী গ্রহন করা হবে বলে হুঁশিয়ারী দেন তারা।
রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র অন্তর্গত বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাবেক সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টুর সভাপতিত্বে মনাববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন রাজপাড়া থানার সাবেক সভাপতি শওকত আলী, মতিহার থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি আনসার আলী, শাহমখদুম থানার সাবেক সভাপতি মাসুদ, বোয়ালিয়া থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইকবাল হোসেন দিলদার, শাহমখদুম থানার সাবেক সধারণ আব্দুল মতিন, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খাজদার আলী, মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি বিএনপি নেতা আবুল কালাম আজাদ সুইট, ২৫নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আখতারুজ্জামান টেনি, যুবদল রাজশাহী মহানগরের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বকুল, সাবেক সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হক হারু, মহানগর যুবদলের বর্তমান কমিটির যুগ্ম সম্পাদক রুহুল আমিন বাবলু, যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হাসান ও আতাউর রহমান বাধন।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মহিলাদল কেন্দীয় কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকসানা বেগম টুকটুকি, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সভাপতি এডভোকেট রওশন আরা পপি, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক্ষ সকিনা খাতুন, মহানগর কৃষক দলের সাবেক সদস্য সচিব গোলাম সাকয়লায়েন ইকো, বিভিন্ন ও ওয়ার্ড বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অভিযোগ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা আনিত অভিযোগ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট উল্লেখ করে তিনি বলেন, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র বর্তমান আহ্বায়ক কমিটি আসার পরে মহানগর বিএনপিতে আমুল পরিবর্তন হয়েছে। সম্পূর্ন নিরপেক্ষতা বজায় ও গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে থানা ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হচ্ছে। শুধু বিএনপি নয় অঙ্গ ও সগযোগি সংগঠনের কমিটি গুলোও একই পন্থায় হচ্ছে। আর কোন কমিটিতেই আওয়ামলীগের কোন দোসরদের স্থান দেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান কমিটি সরকার পতনের সকল আন্দোলনে মাঠে ছিলো, আগামীতেও থাকবে বলে উল্লেখ করেন। সেইসাথে তাদের নিয়ে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নিজস্ব প্রতিনিধি মোঃ ফজলুল করিম (বাবলু) রাজশাহী। #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.