আয় ১১ ও সম্পদ ১৭ গুণ বৃদ্ধি নাটোর-২ আসনের সাংসদ শিমুলের

নাটোর প্রতিনিধি: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নাটোর-২ (সদর-নলডাঙ্গা) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুলের আয় ১১ গুণ ও সম্পদ ১৭ গুণ বেড়েছে।

দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের সাথে দাখিলকৃত হলফনামা বিশ্লেষণে এ তথ্য পাওয়া গেছে। শিমুল ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে অংশ নেন এবং বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।

২০১৮ সালের হলফনামা অনুযায়ী, নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম শিমুল পেশায় প্রথম শ্রেণির একজন ঠিকাদার। তার বার্ষিক আয় ৬২ লাখ ৫৭ হাজার ১০১ টাকা যার মধ্যে রয়েছে ঠিকাদারী ব্যবসা হতে আয় ১ লাখ ২৮ হাজার ৫৮৭ টাকা, মাছ চাষ থেকে আয় ৩৬ লাখ ৮৫০ টাকা, এফডিআর থেকে ১ লাখ ৬৪ হাজার ৮৬৩ টাকা ও সাংসদ হিসেবে সম্মানী ২৩ লাখ ৬২ হাজার ৮০১ টাকা। এছাড়া নির্ভরশীলদের আয়ের পরিমাণ ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৮৮ টাকা। ২০১৩ সালের হলফনামায় শিমুলের মোট আয় ছিল ৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯২০ টাকা যা ২০১৮ সালে বেড়েছে প্রায় ১১ গুণ।

২০১৩ সালের হলফনামায় অস্থাবর সম্পদের মধ্যে শিমুলের নগদ টাকা ছিল ১১ লাখ ১২ হাজার ৩৩৬ টাকা যা প্রায় ১০দশমিক ৩৭ গুণ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৩০৪ টাকা। ২০১৩ সালে স্ত্রীর নামে নগদ অর্থ না থাকলেও ২০১৮ সালে তার স্ত্রী নামে রয়েছে ৫৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৪ টাকা। ২০১৩ সালের হলফনামায় ব্যাংকে জমাকৃত টাকার পরিমাণ ৭ লাখ হলেও পাঁচ বছরে প্রায় ১৮ গুণ বেড়ে হয়েছে ১ কোটি ২৬ লাখ ৬৭ হাজার ৪০৪ টাকা। পাঁচ বছরে তার স্ত্রীর নামে ব্যাংকে রাখা ১০ লাখ টাকা বেড়ে হয়েছে ১৬ লাখ ১৮ হাজার ৩১৩ টাকা। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে কোন স্থায়ী স¤পদে বিনিয়োগ না থাকলেও পাঁচ বছরে ৭৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ হয়েছে সাংসদের নামে এবং তার স্ত্রীর নামেও হয়েছে ৫৪ লাখ ২৭ হাজার ১২১ টাকা। পাঁচ বছরে সাংসদ

শিমুলের নামে ২০ ভরি স্বর্ণালংকার অপরিবর্তিত থাকলেও মেয়াদ শেষে স্ত্রীর ১৫ ভরি স্বর্ণালংকার ২০ ভরি বেড়ে হয়েছে ৩৫ ভরি। ২০১৮ সালের হলফনামায় শিমুলের নিজের নামে ৬৩ লাখ ৬২ হাজার টাকার একটি জিপ ও স্ত্রীর নামে সাড়ে ৩৪ লাখ টাকা দামের একটি গাড়ি রয়েছে। এছাড়া নিজ নামে ১ লাখ ২০ হাজার টাকার এবং স্ত্রীর নামে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকার ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী ও আসবাবপত্র রয়েছে বলে উল্লেখ আছে।

২০১৪ সালের হলফনামায় শিমুলের নামে দশমিক ৩৩ একর কৃষিজমি থাকলেও ২০১৮ সালের হলফনামায় নিজ নামে ৬৪দশমিক ৩৭ শতাংশ কৃষি জমি, ৩ শতাংশ অকৃষি জমি এবং স্ত্রীর নামে ১৪দশমিক ১১ শতাংশ জমি রয়েছে।

আয় ও সম্পদ বৃদ্ধির সাথে পাল্লা দিয়ে দায়ও বেড়েছে সাংসদ শফিকুল ইসলাম শিমুলের। ২০১৮ সালের হলফনামায় মীর আমিরুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীর নিকট ৫০ লাখ টাকার সুদমুক্ত ব্যবসায়ীক ধার ও রাজধানী ঢাকার ইস্টার্ণ ব্যাংক লিমিটিডের শ্যামলী শাখায় ১৬ লাখ ০১ হাজার ৩৮৪ টাকা ঋণ রয়েছে।

সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.