আসামে ভয়াবহ বন্যায় নিহত ৬, বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৩ লাখ মানুষ

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুসারে, গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত আসামের বন্যায় নিহতের সংখ্যা ছিল ছয়।
এ ছাড়া, বাস্তুচ্যুত হয়েছে বন্যাকবলিত ১১টি জেলার প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ। ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরে অবিরাম বৃষ্টিপাতের কারণে সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিঘ্নিত হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
এই বন্যায় কাছাড়ে তিনজন, হাইলাকান্দিতে দুজন এবং কার্বি আংলংয়ে একজন মারা গেছেন। গত ২৮ মে থেকে রাজ্যটিতে বন্যা, বৃষ্টি ও ঝড়ের কারণে মোট মৃতের সংখ্যা ১২।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, কার্বি আংলং, ধেমাজি, হোজাই, কাছাড়, করিমগঞ্জ, ডিব্রুগড়, নগাঁও, হাইলাকান্দি, গোলাঘাট, পশ্চিম কার্বি আংলং এবং দিমা হাসাও জেলায় মোট ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৪৫ জন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এর মধ্যে কাছাড় জেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজার ৯৯৭ জন মানুষ।
উদ্ধারকারী দল ৬১৫ জনকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়েছে। কামরূপ, কাছাড় ও জোড়হাট শহরে বন্যার খবর পাওয়া গেছে। এসব এলাকায় বন্যার কারণে ১১টি রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং তিনটি বাঁধ ভেঙেছে।
বরাক নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় বরাক উপত্যকায় রেল ও সড়ক যোগাযোগ মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। তারাপুর এলাকার রেলস্টেশনসহ শিলচর শহরের বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
উত্তর–পূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের একজন মুখপাত্র বলেছেন, রেলস্টেশন প্লাবিত হওয়ায় শিলচরের ট্রেন পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে। শিলচর-গুয়াহাটি এক্সপ্রেস এবং শিলচর-রাঙ্গিয়া এক্সপ্রেস শুক্র ও শনিবারের জন্য বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, লুমডিং বিভাগের জুগিজান ও যমুনামুখ স্টেশন প্লাবিত হওয়ার কারণে গতকাল আরও ছয়টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বরাক উপত্যকার তিনটি জেলা—কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জের পাশাপাশি দিমা হাসাও এবং হোজাই এলাকা বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, হাফলং-বদরপুর রেল রুটে ভূমিধসের কারণে ট্রেন পরিষেবাগুলো সাময়িকভাবে বাতিলের পর ট্রেন চলাচল এখনো স্বাভাবিক হয়নি। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.