আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৪

বিটিসি আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের আসামসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হয়েছে। তলিয়ে আছে গ্রামের পর গ্রাম। অস্থায়ী তাবুতে আশ্রয় নিয়েছেন হাজারো বাসিন্দা।
প্রতিকূল পরিস্থিতিতেই চলছে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ। আসামে বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। কর্তৃপক্ষ বলছে, বন্যায় এখন পর্যন্ত ২২টি জেলার প্রায় ৮ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
যে দিকে চোখ যায় শুধু পানি আর পানি। তলিয়ে আছে অসংখ্য বাড়িঘর, রাস্তাঘাট ও ফসলি জমি। বিপর্যস্ত জনজীবন। ভারতের আসাম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে এখনো বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
তিনটি জেলায় নতুন করে আরও কয়েকজনের প্রাণহানি ঘটেছে। ঘরবাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন হাজারো মানুষ।
স্থানীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা বলছে, বন্যার কারণে ২২টি জেলার অন্তত সাত লাখের বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। এদের অধিকাংশই শিশু। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অন্তত দুই হাজারের বেশি গ্রাম। প্লাবিত হয়েছে ৯৫ হাজার হেক্টরের মতো ফসলি জমি।
স্থানীয়দের নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা। ছোট ছোট নৌকায় করে সরানো হচ্ছে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র। এ পর্যন্ত ২৪ হাজারের বেশি বাসিন্দাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।
আসামের পাহাড়ি এলাকায় ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড়ধসে ব্যাহত হচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। বন্ধ রয়েছে আসাম, মিজোরাম, মনিপুর, ত্রিপুরা ও ডিমায় যান চলাচল।
বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব ধরনের সহায়তা দেয়ার কথা জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
এদিকে বিশ্বজুড়ে হু হু করে বাড়ছে তাপমাত্রা। সবচেয়ে বেশি বিপাকে ভারত ও পাকিস্তান। এ বছর হুট করেই দেশ দুটির তাপমাত্রা আগের সব রেকর্ড ভেঙে ফেলে। কিছু কিছু অঞ্চলে তাপমাত্রা পৌঁছায় ৪৫ থেকে ৪৬ ডিগ্রিতে। এ অবস্থায় লোডশেডিং এ চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
হঠাৎ বৈশ্বিক উষ্ণতা বাড়তে থাকার সঠিক কারণ জানতে গবেষণা চালিয়ে আসছিলেন বিজ্ঞানীরা। এরই ধারাবাহিকতায় এক জরিপ প্রকাশ করল ওয়ার্ল্ড ওয়েদার এট্রিবিউশন গ্রুপ।
সাম্প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে দাবদাহের মাত্রা ৩০ গুণ পর্যন্ত বেড় গেছে। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে বিশ্ব খুব শিগগিরই মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে বলেও সতর্ক করেছে সংস্থাটি। (সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া)। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.