বিশেষ প্রতিনিধি: র্যাবের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশিত তথ্যের ভিত্তিতে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে আসা খবর প্রকাশের বিষয়ে বেশকিছু ভুল তথ্য উঠে এসেছে বলে জোর প্রতিবাদ জানিয়েছেন মামলার বাদি’সহ এলাকাবাসী।
রাজশাহীর তানোর উপজেলার ব্যাপক আলোচিত চাঞ্চল্যকর যুবলীগ কর্মী জিয়ারুল হত্যা মামলার বাদি রবিউল ইসলাম বিশেষ করে এই দাবি করেন। তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের মাধ্যমে প্রশাসনকে সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামীদের রিমান্ডে নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞেসাবাদেরও জোর দাবি জানান।
মামলার বাদি রবিউল ইসলাম বলেন, গতকাল ২৯-শে ফেব্রুয়ারী ও ০১-লা মার্চ ২০২৪ ইং বিভিন্ন গণমাধ্যমে আমার মৃত ভাই জিয়ারুল ইসলাম (জিয়া)’কে নিয়ে বিভিন্ন ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। খবরে দেখলাম লিখা হয়েছে সুমি খাতুনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার মৃত ছোট ভাই জিয়াউল ইসলামের। বিষয়টি হাসান মেম্বার বুঝতে পেরে জিয়ারুলকে সতর্ক করে, যা এলাকাবাসী’সহ আমরা কেউ আজ পর্যন্ত জানতে পারলাম না। এই বিষয়টি একেবারেই ভিত্তিহীন বানোয়াট, এতে করে আমাদের পারিবারিক মান-মর্যাদা ক্ষুন্ন হয়েছে। মূলত আসামীরা ও তাদের দোসররা নিজেদেরকে বাঁচাতে প্রশাসনকে এমন মনগড়া মিথ্যা তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।
রবিউল ইসলাম আরও বলেন, আমার ভায়ের সাথে যদি তাদের সম্পর্ক ভালোই থাকতো তাহলে প্রায় চার থেকে সাড়ে চার বছর ধরে সুমির সাথে মামলা চলতো না আমাদের। গত ৭-জানুয়ারী ২০২৪ ইং জাতীয় নির্বাচনের পরের দিন তারা পরিকল্পিত ভাবে আমার ভায়ের গভীর নলকূপ (ডিপ টিউবয়েলে) তালা লাগিয়ে দিত না। চলতি বছরের ১১ জানুয়ারী তারা গোপনে ২৫/২৬ বিঘা জমির খড়ে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিতো না। আমরা কোনপ্রকার বাগবিতণ্ডায় না জড়িয়ে সকল কিছু প্রশাসনকে জানিয়েছি, প্রশাসনের সহযোগিতায় আমরা গভীর নলকূপের দরজা খুলতে পারি।
এই বিষয় বিলশহর গ্রামের যথাক্রমে, উক্ত ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আলহাজ্ব মহাসিন আলী মন্ডল, বর্তমান মেম্বার শামসুল হক, মোঃ দেলজান মন্ডল, পিতা- মৃতঃ জহুর মন্ডল’দ্বয় বলেন, আমাদের এই বিলশহর গ্রামটি অনেকটায় শান্ত প্রকৃতির এই রকম জঘন্যতম ঘৃণ্য ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি এই রকম হৃদয় বিদারক লোমহর্ষক ঘটনা ঘটতে পারে আমাদের এই শান্ত গ্রামে। আমরা প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরপেক্ষ বিচারের দাবি জানাচ্ছি। সেই সাথে আরও দাবি জানায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কোন নিরপরাধ মানুষ যেন হয়রানির শিকার না হয় সেই দিকেও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।
অন্যদিকে, নাম প্রকায়ে অনিচ্ছুক ব্যাক্তিরা বলেন- আমরা জিয়ারুলের এই নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধান ও ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধের উপায় বের করতে প্রশাসনের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে একটি নিরপেক্ষ তদন্ত কমিশন গঠনেরও জোর দাবি জানাচ্ছি।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.