আসামি পিয়াসকে কোর্টে আনা হলো হ্যান্ডকাপ ছাড়া, পুলিশ পিকআপের সামনের সিটে বসিয়ে

নাটোর প্রতিনিধি: স্ত্রীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেপ্তার নাটোরের নলডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম পিয়াসকে কোর্ট হাজতে আনা হলো হ্যান্ডকাপ ছাড়া এবং পুলিশ পিক আপের সামনের সিটে বসিয়ে।
একজন চিহিৃত অপরাধীকে জামাই আদরে আদালতে নিয়ে আসার ঘটনায় নাটোরের সর্বত্র সমলোচনার ঝড় বইছে ।তবে হ্যান্ডকাফ ছাড়া এবং পিক আপের সামনের সিটে বসিয়ে এভাবে আনার ব্যাপারে নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, পিয়াস একজন জনপ্রতিনিধি তাই তাকে এইভাবে আনা হয়েছে।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) দুপুরে নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্যানেল মেয়র শরিফুল ইসলাম পিয়াসকে (৪০) কে দ্বিতীয় স্ত্রী পলি খাতুনকে আÍহত্যার প্ররোচনা মামলায় গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নলডাঙ্গা বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায় পুলিশ।গ্রেপ্তার শরিফুল ইসলাম পিয়াস নলডাঙ্গা উপজেলার পশ্চিম সোনাপাতিল গ্রামের মৃত ওহাব মাস্টারের ছেলে। তিনি নলডাঙ্গা পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং নলডাঙ্গা পৌরসভার প্যানেল মেয়র।
নলডাঙ্গা থানা সূত্রে জানান , বুধবার দুপুরে শরিফুল ইসলাম পিয়াসকে নলডাঙ্গা বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় স্ত্রী পলি খাতুনের আÍহত্যা প্ররোচনা মামলার গ্রেপ্তারী পরোয়ানা ছিল।
নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত ) আকবর আলী বলেন, এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে বুধবার দুপুরে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
উলে­খ্য, চলতি বছরের ১ লা মার্চ নাটোর শহরের দক্ষিণ বড়গাছা বুড়াদরগা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে কাউন্সিলর পিয়াসের দ্বিতীয় স্ত্রী পলি খাতুনের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত পলি খাতুন নলডাঙ্গা উপজেলার সোনাপাতিল এলাকার কাশেমের মেয়ে এবং নলডাঙ্গা পৌরসভার কাউন্সিলর শরিফুল ইসলাম পিয়াসের ২য় স্ত্রী ছিলেন।
এ ঘটনায় পিয়াসের বিরুদ্ধে পলির মা নলডাঙ্গা পৌরসভার সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর শামসুন্নাহার বেগম আÍহত্যা প্ররোচনার অভিযোগ এনে নাটোর সদর থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন তিনি।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর নাটোর প্রতিনিধি খান মামুন। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.