আশ্রয় ফাউন্ডেশন’র খুলনায় আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির যাত্রা শুরু

খুলনা ব্যুরো: উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহযোগিতায় বেসরকারি সংস্থা আশ্রয় ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে খুলনায় আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক যাত্রা হলো।
আজ সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে নগরীর ২৬নং ওয়ার্ডের তালুকদার কমিউনিটি সেন্টারে এ কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, খুলনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ সাদেকুর রহমান খান।
জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর সহকারী পরিচালক হিরামন কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন, খুলনার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ মোস্তাক উদ্দীন। স্বাগত বক্তৃতা করেন, আশ্রয় ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মমতাজ খাতুন।
সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের প্রকল্প প্রধান মোঃ রবিউল ইসলাম ও সদর থানা ম্যানেজার হালিমা সুলতানা ঝুমু’র পরিচালনায় এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, কেসিসির ২৬নং ওয়ার্ডে ওয়ার্ড সচিব এমএম সোহেল ইসলাম ও সাংবাদিক নেতা এইচএম আলাউদ্দিন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা বা এসডিজি এবং বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সারাদেশের স্কুল বহির্ভূত ও প্রাথমিকের ঝরে পড়া শিশুদের মানসম্মত শিক্ষাদানের লক্ষ্যে সারাদেশের ৬১টি জেলায় আউট-অব-স্কুল চিলড্রেন এডুকেশন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে উপানুষ্ঠিাকি শিক্ষা ব্যুরো। নগরীসহ জেলায় এ কর্মসূচি বাস্তবাসয়ন করছে আশ্রয় ফাউন্ডেশন।
সুতরাং এটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প। এটিকে বাস্তবায়নে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। সেই সাথে এ প্রকল্পের কাজ যাতে সুচারুরূপে হয় সে জন্য জেলা প্রশাসনের শিক্ষা শাখা সার্বিকভাবে দেখভাল করবে।
তিনি বলেন, সরকারের উদ্দেশ্য হচ্ছে সবার জন্য মানসম্মত শিক্ষা দেয়া কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করে আগামী প্রজন্মকে জনসম্পদে পরিণত করা।
প্রকল্পের আওতায় আসা শিশুদের সুযোগ-সুবিধার কথা তুলে ধরে আশ্রয় ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মমতাজ খাতুন বলেন, তাদের শিক্ষাকেন্দ্রের আওতাধীন শিক্ষার্থীদের মাসিক উপবৃত্তি, পোশাক ও স্কুল ব্যাগ প্রদান, পাঠ্যবই, খাতা, পেন্সিল ও কলম এবং পরীক্ষার ফি প্রদান করা হবে। মহানগরীতে দুইশ’ এবং জেলার নয়টি উপজেলায় ৬৩০টি কেন্দ্রের প্রতিটি কেন্দ্রে ৩০জন করে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে। প্রথমে সকলকেই প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করে শিক্ষা দেয়া হবে। প্রথম, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় শ্রেণির সকলকে ছয়মাসের সেমিষ্টার ভিত্তিক ক্লাস নিয়ে দেড় বছরে তৃতীয় শ্রেণি উত্তীর্ণ হওয়ার পর ৪র্থ ও ৫ম শ্রেণিতে এক বছর করে দু’বছর শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার পর মাধ্যমিকে ভর্তিযোগ্য করে গড়ে তোলা হবে। এভাবেই ৪২ মাসব্যাপী এ প্রকল্পটি চলমান থাকবে। জেলা পর্যায়ে জেলা উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো এবং জেলা প্রশাসনের শিক্ষা ও আইসিটি বিভাগ এ প্রকল্পের তদারকি করবে।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ এর খুলনা ব্যুরো প্রধান মাশরুর মুর্শেদ। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.