আলোচনা ছাড়াই সংসদে একের পর এক বিল পাশ হচ্ছে 

(আলোচনা ছাড়াই সংসদে একের পর এক বিল পাশ হচ্ছে–ছবি: প্রতিনিধির)
বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি: চলতি বাদল অধিবেশনের ঠিক তিনদিন আগে বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে কয়েকটি বিতর্কিত বিলের জন্য সময় বরাদ্দ হলেও বাস্তবে বিনা আলোচনায় পাস করিয়েছে সরকার।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার রাজ্যসভার বিজনেস অ্যাডভাইজারি কমিটির বৈঠকে উপস্থিত হয়ে ও প্রতিবাদ জানিয়ে বৈঠক বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার মুখ্য সচেতক সুখেন্দুশেখর রায়।
তিনি বলেছেন, “হইহট্টগোলের মধ্যে একতরফা জোর করে যেভাবে মোদি সরকার গুরুত্বপূর্ণ বিল পাস করছে, তাতে গণতন্ত্র ধ্বংস হচ্ছে। নজির সৃষ্টি করছে মোদি সরকার। আমাদের মনে হয়, এরপর আর সংসদের প্রয়োজন পড়বে না।”
কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, ডিএমকে, আরজেডি, সিপিএম, সিপিআই, শিবসেনা, আম আদমি পার্টি, ন্যাশনাল কনফারেন্স-সহ মোট ১৫টি রাজনৈতিক দল সংসদের দুই কক্ষ সরকারকে কোণঠাসা করে চলেছে। মূলত পেগাসাস, কৃষি আইন এবং মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব তারা। এই দাবিকে সামনে রেখে সংসদের দুই কক্ষ কার্যত অচল করে রেখেছেন বিরোধীরা।বিরোধীদের অভিযোগ, “সংসদীয় রীতি-নীতি ভাঙায় রেকর্ড গড়ছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। গুরুত্ব হারাচ্ছে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটি। “বিরোধীরা হইচই করে অধিবেশন বানচাল করার আপ্রান চেষ্টা করলেও সরকার বিল পাসের উদ্দেশ্যে বহুলাংশে সফল।
যে বিলগুলি নিয়ে বিতর্ক তার মধ্যে রয়েছে, ‘ডিফেন্স সার্ভিসেস বিল’, যেখানে অর্ডিন্যান্স ফ্যাক্টরিকে ভেঙে ৭টা কর্পোরেশন করা হচ্ছে। সেখানে শ্রমিকদের ধর্মঘটের অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। বিরোধীরা চেয়েছিল, বিলটি সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানো হোক আলোচনা হোক বিলের খুঁটিনাটি খতিয়ে দেখা হোক তারপরে সংসদে বিলটি পাস করার জন্য পেশ করা হোক। তৃণমূল কংগ্রেসের প্রস্তাব ছিল, সংসদের পাশাপাশি সংসদের বাইরে যে বৃহত্তর সমাজ রয়েছে তাদের পরামর্শ নেওয়া হোক। এছাড়াও বীমা বিল নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আপত্তি ছিল।
এই বিলে বিমা ক্ষেত্রে আরও বেসরকারীকরণ এর কথা বলা হয়েছে। দলের বক্তব্য ছিল, বিমা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র যার বেসরকারিকরণ করা চলে না। সেক্ষেত্রেও বিলটিকে সিলেক্ট কমিটির কাছে পাঠানো হোক। সমাজের বিভিন্ন মহলের মত নেওয়া হোক। এত কিছুর পর শুক্রবার আবার রাজ্যসভার ‘বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটি’র বৈঠকে আরও এক গুচ্ছ বিল নিয়ে এসে সময় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হচ্ছিল। আগের ঘটনার উল্লেখ করে বৈঠক বয়কট করেছে তৃণমূল। অথচ, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু বিরোধী নেতাদের বলেছিলেন, “বিলটি সংসদে আসুক। আপনারা সময় চাইবেন সময় বরাদ্দ করা হবে।”
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর বিশেষ (ভারত) প্রতিনিধি রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায়। # 

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.