আ’লীগ সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ দারাকে দেয়া ঘুষের টাকা ফেরত নিতে রাস্তায় চাকরি প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার বিরুদ্ধে চাকুরী দিয়ে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে পুঠিয়া উপজেলার দুই শতাধিক যুবক রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কের ঝলমলিয়া এলাকায় অবস্থান নিয়ে রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সংসদ সদস্য কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারার অপেক্ষায় চাকরি প্রার্থীরা প্রায় আড়াই ঘণ্টা রাস্তায় কাটালেন চাকরি দেয়ার জন্য নেওয়া টাকা আদায়ের উদ্দেশ্যে।

তাদের অভিযোগ, চাকরির জন্য তারা দারাকে দুই থেকে পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত দিয়েছেন। কিন্তু তাদের চাকরি দেননি, টাকাও ফেরত দেননি।এ সময় তারা সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দেন।

পরে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুঠিয়া পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর সিদ্দিক, সাধারণ সম্পাদক শাহরিয়ার রহিম কনক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক আবুল ফজল প্রামানিকসহ স্থানীয় নেতারা গিয়ে তাদের অনুরোধ করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।

এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য আবুল ফজল প্রামাণিক চাকরি প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০০৯ সালে তিনি নিজেই সহকারী শিক্ষক পদে তার ভাইয়ের চাকরির জন্য দারাকে দুই লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু তার ভাইয়ের চাকরি হয়নি, টাকাও ফেরত দেননি সংসদ সদস্য।

নির্বাচনের পর তারা আবদুল ওয়াদুদ দারাকে যেখানে পাবেন সেখানেই সবার টাকা আদায় করবেন বলেও ঘোষণা দেন ফজল।
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের টিকিটে এমপি নির্বাচিত হন ব্যবসায়ী আবদুল ওয়াদুদ দারা। দশম সংসদ নির্বাচনেও তিনি দলের মনোনয়নে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে আসেন। তবে নানা অভিযোগ উঠা এই সংসদ সদস্যকে এবার মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ।

জেলা পরিষদের স্থানীয় সদস্য আবুল ফজল প্রামাণিক বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে আজ শুক্রবার এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারার এলাকায় আসার খবর প্রচার করেন। তাই চাকরি প্রার্থীরা তাদের টাকা আদায়ে এমপিকে আটকানোর জন্য সড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন।

চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় অবস্থান নিলে আমাকে থানা থেকে ফোন করা হয়। বলা হয়, ‘সামনে নির্বাচন, এতে আপনাদের দলের ক্ষতি হবে। ছেলে-পুলেদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেন।’ তাই আমরা গিয়ে চাকরি প্রার্থীদের বুঝিয়ে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেই। তাদের আশ্বাস দিয়েছি যে, ৩০ ডিসেম্বরের পর আবদুল ওয়াদুদ দারাকে যেখানে পাওয়া যাবে সেখানেই তার কাছ থেকে টাকা আদায় করা হবে।

তবে দারা শেষ পর্যন্ত এলাকায় যাননি। আর এ বিষয়ে কথা বলতে আবদুল ওয়াদুদ দারাকে মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও ধরেননি।#

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.