আর্থিক সংস্কারের নামে চলছে জি এস টি প্রতারনা


কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: সার্বিক ভাবে যখন আর্থিক সংস্কারের পথে সরকার হাটছে ঠিক তখনই ধরা পড়ল জি এস টি  ফাঁকি। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন,এখনই তাড়াহুড়ো করে জি এস টি লাগু না করার সবটা আগে ভালোকরে বিশেষজ্ঞদের দিয়ে বিচার বিশ্লেষণ প্রয়োজন তারপর তা ধাপে ধাপে লাগু করা হোক। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার সেটাকে উপেক্ষা করে, ঘএখন কার্যত তাঁর কথাতেই শীলমোহর দিচ্ছে।
সম্প্রতি এক সমীক্ষায় কেন্দ্রীয় সরকার নিজেরাই এই কথা বলছে। তড়িঘড়ি জি এস টি লাগু করতে গিয়ে সরকারী ব্যবস্থাতেই ফাঁক থেকে গেছে যার ফায়দা নিচ্ছে কিছু অসাধু  ব্যবসায়ী। একদিকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা এর তল পেতে নাজেহাল হচ্ছেন,অন্যদিকে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে কোষাগারে।
কেন্দ্রের হিসাবে গত দুটি অর্থ বর্ষে দেশে প্রায় এক লক্ষ কোটি টাকার কর ফাঁকি হয়েছে। অর্থাৎ যে রাজস্বটা সরকারের ঘড়ে জমা হওয়ার ছিল তা পরিকাঠামোর ত্রুটির জন্য যায়নি।
শুধু তাই নয় যেভাবে কর ফাঁকির প্রবনতা বাড়ছে বিশেষজ্ঞ মহল খুব চিন্তিত।
হিসেব বলছে,২০১৯-২০ সালের অর্থবর্ষে দেশে জি এস টি র ফাঁকির পরিমাণ ছিল প্রায় একচল্লিশ হাজার কোটি টাকা। ২০২০-২১ অর্থবর্ষের এপ্রিল থেকে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকে। লকডাউনে মুখথুবরে পরে অর্থনীতি। তখনও ফাঁকির রমরমা এতটুকু কমে নি বরং তা পৌঁছয় ৪৯হাজার ৪০০কোটি টাকায় চলতি বছরেও তা অব্যাহত। এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত দেশে প্রায় সাড়ে সাত হাজার কোটি টাকার কর ফাঁকি সামনে এসেছে।
অস্তিত্ব নেই এমন সংস্থার নামে কাগজ পত্র বানিয়ে রমরমিয়ে চলছে কর জালিয়াতি যা কিনা এটা এখন রেগুলার নিয়ম মাফিক হয়ে গেছে। গত অর্থবর্ষে এই জালিয়াতির অঙ্ক ছিল ৩১হাজার কোটি টাকার বেশী। প্রায় সাড়ে সাত হাজার কেসে এই জালিয়াতি হয়েছে। শুধু তাই নয় আই টি সি বা ইনপুট ট্যাক্স ক্রেডিট জালিয়াতির ও প্রবনতা শুরু থেকেই চলছে।
পোর্টালের দুর্বলতা ও সঠিক পরিকাঠামো না থাকার কারনে ফাঁকি যে নিত্য দিন বাড়ছে তা মেনে নিয়েছেন দপ্তরের কর্তারা। পাশাপাশি তাঁরা দাবি করেছেন এই সমস্যার সমাধানের জন্য বেশ কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কর ফাঁকি রোধের জন্য একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি ‘সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ইনডিরেক্ট ট্যাক্স এর আওতায় আলাদা করে একটি ডিরেক্টরেট খোলা হয়েছে, যা রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এবং অ্যানালিটিক্সের ওপর কাজ করে’।করের ফাঁক ফোঁকর ধরতে এই বিশেষ কমিটি পারদর্শী।
সংবাদ প্রেরক  বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.