বিটিসি স্পোর্টস ডেস্ক: ব্রাজিলিয়ান তারকা মার্সেলোর ট্যাকেলে পা ভেঙে গিয়েছিল আর্জেন্টাইন খেলোয়াড় লুসিয়ানো সানচেজের। গত সপ্তাহের সেই ঘটনায় সানচেজের পায়ের হাড়ের দুই অংশ প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ঘটনাটি যে অনিচ্ছাকৃত সেটি বোঝা গেছে মাঠ ছাড়ার সময় মার্সেলোর কান্না দেখেই। তবে যা ঘটেছে সেটি ভয়াবহ। তাই মার্সেলোকে শাস্তি দিল দক্ষিণ আমেরিকার ফুটবল সংস্থা কনমেবল। ৩ ম্যাচের নিষেধাজ্ঞার পাশাপাশি ৬ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে এই ব্রাজিলিয়ানকে।
ভয়ংকর সেই ঘটনাটি ঘটে গত সপ্তাহের মঙ্গলবার। দক্ষিণ আমেরিকার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ আসর কোপা লিবার্তাদোরেসের ম্যাচে মঙ্গলবার বুয়েন্স এইরেসের দিয়েগো ম্যারাডোনা স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল ব্রাজিলের ফ্লুমিনেন্স ও আর্জেন্টিনার আর্জেন্টিনোস জুনিয়র্স। সেই ম্যাচেই মার্সেলোর ট্যাকেলে সানচেস নামের আর্জেন্টাইন ওই ডিফেন্ডারের পা মুহূর্তেই ভেঙে উল্টো দিকে একদম মুচড়ে যায়।
খেলার ৫৫তম মিনিটে এই ঘটনা ঘটে। রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক তারকা মার্সেলো ব্রাজিলের ক্লাব ফ্লুমিনেন্সের হয়ে মাঠে নামেন। তিনি বল পায়ে কাটানোর চেষ্টা করছিলেন। পাশ থেকে ছুটে এসে বাঁ পা বাড়িয়ে দেন লুসিয়ানো। পরের ধাপেই মার্সেলোর পা গিয়ে পড়ে সানচেসের বাড়িয়ে দেওয়া পায়ের ওপর। মার্সেলোকে দেখানো হয় লাল কার্ড। তবে সানচেসের অবস্থা দেখে মার্সেলো মাঠ ছাড়েন কাঁদতে কাঁদতে।
ঘটনায় মাঠে পড়ে কাতরাতে থাকেন ২৯ বছর বয়সী ডিফেন্ডার সানচেস। সতীর্থরা তাকে ঘিরে ধরেন। মার্সেলো নিজেও কাছে গিয়ে সানচেসের পায়ের অবস্থা দেখে মাথায় হাত দিয়ে ফেলেন। পরে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন। মাঠে কিছুক্ষণ চিকিৎসা দেওয়ার পর সানচেসকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। ভিএআর দেখে মার্সেলোকে লাল কার্ড দেখান রেফারি।
কান্না করতে করতে মাঠ ছাড়ার পর ইনস্টাগ্রামে সানচেসের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন মার্সেলো। এই ডিফেন্ডার লিখেন, ‘আজকে মাঠে খুব কঠিন একটি মুহূর্ত আসে আমার জন্য। অনিচ্ছাকৃতভাবে একজন খেলোয়াড়কে চোটে ফেলে দেই আমি। তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি আমি। জগতের সবটুকু শক্তি তার সহায় হোক।’ #
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.