আরো কোনঠাসা বঙ্গের বিরোধিরা

কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি: একুশের বিধান সভার পাঁচ মাস পর ফের বিরোধীদের হতশ্রী চেহারাটা নজরে এলো।ডবল ইঞ্জিন সরকারের ইঞ্জিন বিকল হয়ে গেল।
গতকাল রবিবার ভবানীপুর উপ-নির্বাচন ও জঙ্গিপুর-সামসেরগঞ্জের সাধারণ নির্বাচনের ফল প্রকাশ হয়। বিরোধীদের খুঁজতে অনুবিক্ষণ যন্ত্রের দরকার হচ্ছে। মাসকয়েক আগে বিধান সভার নির্বাচনে ২০০-র বেশী আসনে জয়ের স্বপ্ন ফেরি করা তিনটি কেন্দ্রেই বিজেপি মুখ থুবড়ে পরল।
সূত্রের খবর এনিয়ে আগবাড়িয়ে কোন রকম মন্তব্য কেউ না করে বলে কেন্দ্রীয় কমিটি জানিয়েছে। বিবৃতি দেবার মতো দলের তরফে কাউকেই পাওয়া জায়নি। রাজ্য বিজেপি তথা হেস্টিংস অফিসও ছিল সুনসান।
বিজেপির প্রর্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল দলের বিরুদ্ধেই শুর চড়িয়ে বলেন,মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্রে দল দুর্বল ছিল। দলের বিস্তারে এখানে অনেক কাজ করতে হবে।পাশাপাশি তিনি নির্বাচন কমিশনের ও সমালোচনা করে বলেন,নির্বাচন কমিশন বিরোধীদের প্রতি বৈষম্য মূলক আচরণ করেছেন।
সিপিএমের অপর প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাসের জামানত জব্দ হয়েছে। কংগ্রেস অবশ্য সৌজন্যতা দেখিয়ে প্রর্থী দেয় নি।
গত বিধান সভার ভোটে নিজেদের গড় বলে পরিচিত মুর্শিদাবাদে দলের প্রাপ্তি ছিল শূন্য। কিন্তু এদিন সামসেরগঞ্জের ফলাফলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে কংগ্রেস।
ভোটের ফল নিয়ে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান শ্রী বিমান বসু বলেন,এটাই হওয়ার ছিল। পরোক্ষে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জয় কার্যত আগেই ঠিক ছিল।
এদিকে বেসুরো হয়ে বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপুল প্রশংসা করলেন। এর সাথে বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষের উদ্দেশে কটাক্ষ করে বলেন, ‘আমি নির্বাচনের দিন যে ভবিষ্যত বাণী করেছিলাম তা মিলে গেল।আসলে বাংলার ভোট করতে হলে বিজেপিকে আগে বাঙালী হতে হবে। আমি এই কথা বলায় দলের অনেকেই আমার ওপর অসন্তুষ্ট হয়েছিল, এখন তাঁরাই দেখুক দলের অবস্থানটা ঠিক কোথায়। আসলে তাঁরা রাস্তায় নেমেও বাঙালির মন বুঝতে পারেন না। তাঁদের লড়াই কোর্ট আর নির্বাচন কমিশনে সীমাবদ্ধ। তাঁর দাবি,আগামী দিনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেই বাংলা ও বাঙালির জয় হবে’।
সংবাদ প্রেরক বিটিসি নিউজ (বাংলাদেশ) এর কলকাতা (ভারত) প্রতিনিধি স্বপন দেব। #

Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.