প্রথমার্ধে রবের্ত লেভানদোভস্কির জোড়া গোলের পর ব্যবধান কমান আয়োসে পেরেস। দ্বিতীয়ার্ধে পাবলো তোরে ব্যবধান আবার বাড়ানোর পর জোড়া গোল করেন রাফিনিয়া। মাঝে পেনাল্টি মিস করে হ্যাটট্রিকের সুযোগ হাতছাড়া করেন লেভানদোভস্কি।
লা লিগায় প্রথম পাঁচ ম্যাচে জয়ের পর গত সপ্তাহে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে প্রথম ম্যাচে মোনাকোর মাঠে ৮০ মিনিট ১০ জন নিয়ে খেলে ২-১ গোলে হেরে বসে বার্সেলোনা। ঘরোয়া লিগে ঠিকই জয়ের ধারা ধরে রাখল তারা।
লিগে সবশেষ তিন ম্যাচে তারা গোল করল মোট ১৬টি, বিপরীতে হজম করল মাত্র দুটি।
ধারণা করা হচ্ছে, লম্বা সময় মাঠের বাইরে থাকতে হবে বার্সেলোনা অধিনায়ককে।
ষষ্ঠ মিনিটে ম্যাচের প্রথম পরিষ্কার সুযোগ পায় ভিয়ারেয়াল। বাম দিক থেকে সতীর্থের ক্রসে বক্সে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি সাবেক আর্সেনাল ফরোয়ার্ড নিকোলাস পেপে। দুই মিনিট পর ইয়েরেমি পিনো বার্সেলোনার জালে বল পাঠালেও অফসাইডের কারণে গোল মেলেনি।
দ্বাদশ মিনিটে সুযোগ পায় বার্সেলোনা। লামিনে ইয়ামালের কোনাকুনি শট ফেরান ভিয়ারেয়াল গোলরক্ষক। পরের মিনিটে পাল্টা আক্রমণে যায় স্বাগতিকরা। বক্সের ভেতর থেকে পেপের নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন টের স্টেগেন।
সপ্তদশ মিনিটে গোল প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইয়ামাল। তার চমৎকার কোনাকুনি শট দূরের পোস্টে লাগে। একটু পর পেদ্রির নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়।
৮৩তম মিনিটে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পান তিনি। ম্যাচজুড়ে দারুণ খেলা ইয়ামাল চমৎকারভাবে উঁচু করে বল বাড়ান বক্সে, ছুটে গিয়ে বাঁ পায়ের শটে লক্ষ্যভেদ করেন রাফিনিয়া।
আসরে ৬ ম্যাচে তার গোল হলো ৫টি, অ্যাসিস্ট ৩টি।
৬ ম্যাচে শতভাগ সাফল্যে বার্সেলোনার পয়েন্ট হলো ১৮। সমান ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে শিরোপাধারী রেয়াল মাদ্রিদ।
Comments are closed, but trackbacks and pingbacks are open.